ঢাকা: বাংলাদেশের বিশ্বকাপে বোধহয় একটু অপূর্ণতা রয়ে গেছে। তা না হলে মানুষ এভাবে প্রতিদিন মাশরাফিকে বিশ্বকাপে দেখার জন্য স্লোগান দেবে কেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হতো না কোচ, অধিনায়ক এবং নির্বাচকদের।
রোববার ক্যাজুয়াল পোশাকে জাতীয় দলের অনুশীলন দেখতে ইনডোর নেটে এসেছিলেন। তাকে দেখে জেমি সিডন্স এবং ফিজিও মাইকেল হেনরি কাছে এগিয়ে আসেন। খোঁজখবরও করেন। প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলম কুশল জানতে চেয়েছেন। সব দেখে মনে হচ্ছিলো একদিনেই সবার কাছে মাশরাফির কদর খানিকটা বেড়ে গেছে।
আগের দিন প্রিমিয়ার লিগের শেষ ম্যাচে আবাহনীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি। পুরো ১০ ওভার বল করে একটি উইকেটও পেয়েছেন। যদিও ক্রিকেট বোদ্ধাদের চোখে জেদের বসে একটানা বল করে দেখাতে চেয়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। সে যাই হোক, মাশরাফির প্রত্যাবর্তন সামান্য হলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
রোববার যেমন প্রধান কোচ জেমি সিডন্সকে পেয়ে সাংবাদিকদের প্রথম প্রশ্ন ছিলো ওই মাশরাফিকে ঘিরে। পেশাদার কোচ খোলামেলা জবাবও দিয়েছেন। জেমির মতে,“বিশ্বকাপের মধ্যে মাশরাফি ফিট হচ্ছে খুবই ভালো খবর। যদিও এই মুহূর্তে সে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। বিশ্বকাপ দলে যে ১৫ জন ক্রিকেটার আছে আমি এখন তাদেরকে নিয়ে ভাবছি। ”
নড়াইল এক্সপ্রেসকে আপাতত বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন বিসর্জন দিতে হচ্ছে। কোচের ব্যাখ্যায় তেমনটাই মনে হয়,“আমার দলে তিনজন পেসার আছে। বাইরে থেকে কাউকে চাই না। নাজমুল, রুবেল এবং শফিউলকে নিয়ে ভাবছি। মাশরাফি আনফিট এবং তাকে নিয়ে এই মুহূর্তে ভাবতে চাই না। ”
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১১