ঢাকা: মনের ভেতরে ধুঁকপুকানি শুরু হয়েছে না বলে বেড়ে গেছে বলা ভালো। একধরণের পুলকও অনুভব করছেন।
প্রতিদিন ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর খানিক্ষণ কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াতে তাদের ভালো লাগে। এসময় ভালো মন্দ অনেক প্রশ্ন এসে মনের ভেতরে ভিড় করে। উত্তর আপনা আপনি পেয়েও যান। সেঞ্চুরি হচ্ছে, ভারতকে হারিয়ে দেওয়া, একের পর এক ম্যাচ জেতায় কোয়ার্টার ফাইনালও নিশ্চিত হয়ে যায়। খেলা হচ্ছে কল্পনার জগতে। খেলছেন বিশ্বকাপ দলের ১৫ জন সদস্য।
সংবিত ফিরে পাওয়ার পর নিজেকে বিছানায় অথবা সোফায় আবিষ্কার করেন তারা। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে মাঠে এসে কঠিন পরিশ্রম করেন। বিশ্বকাপ নিয়ে স্বপ্নের কথাগুলো বলছিলেন মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস, জুনায়েদ সিদ্দিকী।
মুশফিক তো বিশ্বকাপের জন্য মুখিয়ে আছেন। পারলে এখনই ব্যাট হাতে মাঠে নেমে পড়েন। বিশ্বকাপ নিয়ে বলতে বলতে পুলকিত হচ্ছিলেন বগুড়ার ছোটখাট গড়নের ছেলেটি,“যতই দিন যাচ্ছে মনের ভেতরে ততই ধুঁকপুকানি বাড়ছে। ভয় থেকে নয়, একধরণের আবেগ এবং ভালো লাগা কাজ করছে। মনে হয় একটু বেশি অনুশীলন করলে বেশি ভালো খেলতে পারবো। আরেকটু পরিশ্রম করি। একটি সেঞ্চুরি করার জন্য ব্যাটিংয়ে সময় দেই। দারুণ লাগছে আমার কাছে। ”
মুশফিকুর দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ খেলছেন। তার মনের ভেতরেই যদি এতটা আলোড়ন তৈরি হয়, যারা প্রথমবার খেলবেন তাদের মনের অবস্থা কি একবার ভেবে দেখুন।
ইমরুল কায়েস যেমন জানালেন,“ভালো একটা অনুভূতি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অনেক ম্যাচ খেলেছি, তখন এমনটা হয়নি। সত্যি বলতে মনে মনে সেঞ্চুরি করি, ভালো ইনিংস খেলি। আমর ইনিংসে দল জেতে। এমন অনেক কিছু ভাবতে ভালো লাগে। ”
অনেকে আবার উল্টোটাও বলেছেন। বিশ্বকাপের ম্যাচ বলে বাড়তি কোন উত্তাপ তাদের মধ্যে নেই। পেসার নাজমুল হোসেন যেমন বললেন,“কোন রকম লাগে না। আগের মতোই। ”
সাকিব অধিনায়ক হওয়ায় কিছু একটা করার তাগিদ অনুভব করছেন। সেটাকে চাপ বলা যাবে না, ভালো খেলার তাড়া। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে অন্যদের উজ্জীবিত করার ইচ্ছে কাজ করছে তার মধ্যে।
অতএব বলা যায় বিশ্বকাপ জ্বরে সাধারণ মানুষ যেমন ভুগছেন তেমনি ক্রিকেটারদের মধ্যে সেই ভাইরাস সংক্রামিত হয়েছে। কোচ জেমি সিডন্স যতই বিশ্বকাপকে অন্য একটি সিরিজ হিসেবে দেখাতে চান না কেন উত্তাপটা তার গায়েও লাগতে শুরু করেছে বৈকি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১১