ঢাকা: অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে রহমতগঞ্জ এমএফএস। রোববার টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ লিগের মাঝারি মানের এই ফুটবল দল।
কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ৩৩ মিনিটে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ। প্রশান্তর ক্রস থেকে উগান্ডার ফরোয়ার্ড ইদ্রিস কাসরিয়ের হেড বল আশ্রয় নেয় জালে। তিন মিনিট পর সমতায় ফেরার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ফরাশগঞ্জের অধিনায়ক খোকন দাস।
বিরতির পর আক্রমণ আর পাল্টা-আক্রমণে জমে উঠে ম্যাচ। ৬৮ মিনিটে আবারও গোল বঞ্চিত হয় ফরাশগঞ্জ। পাল্টা আক্রমণ থেকে খোকন দাসের ঠেলে দেওয়া বলে নিশানাভেদ করেন সোহেল রানা। তবে লাইন্সম্যান শহিদুল ইসলাম পতাকা উঁচিয়ে হ্যান্ডবলের সঙ্কেত দিলে ক্ষুব্ধ খেলোয়াড়রা তেড়ে যায় তার দিকে। কয়েক মিনিট বন্ধ থাকলেও রেফারি, কাব কর্মকর্তা ও পুলিশি হস্তক্ষেপে পরে আবারো শুরু হয় খেলা। সে যাই হোক, ম্যাচের বাকি সময় আর গোলের দেখা পায়নি কোন দল।
ফরাশগঞ্জ কোচ হারের কারণ হিসেবে রেফারির পক্ষপাতের ইঙ্গিত করে,“প্রতিপক্ষের কোচসহ অধিকাংশ খেলোয়াড় খুলনার। ম্যাচ রেফারি ও লাইন্সম্যানরাও একই জেলার। একটি নিশ্চিত গোল থেকেও আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। ”
এদিকে আগের পর্বে ঢাকা আবাহনীর কাছে হারলেও চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে জিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। কক্সবাজার স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি কোন পক্ষ। ৬২ মিনিটে ঘানার স্ট্রাইকার এনক বেন্টিল এগিয়ে নেন ব্রাদার্সকে। ৭৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এভারটন।
সাত খেলায় চার জয়, এক ড্র ও দুই পরাজয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ঢাকা মোহামেডানকে (১২ পয়েন্ট) টপকে তালিকার পঞ্চমস্থানে উঠে এসেছে রহমহগঞ্জ। সমান খেলায় ব্রাদার্সের ৯, ফরাশঞ্জের ৬ ও চট্টগ্রাম আবাহনীর সংগ্রহ দুই পয়েন্ট। তালিকায় ব্রাদার্স সপ্তম, ফরাশগঞ্জ নবম ও সবার নিচে আছে চট্টগ্রাম আবাহনী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘন্টা, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১