ঢাকা: স্বপ্নের বিশ্বকাপ ট্রফি এসে গেছে। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে হিরো হোন্ডা ভারত থেকে ট্রফি নিয়ে এসেছে বাংলাদেশে।
অন্তত হিরো হোন্ডার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সেটাই প্রমাণ করে। বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় ট্রফি নিয়ে রোড’শো শুরু হবে। সাড়ে দশটা নাগাদ রামপুরাস্থ বাংলাদেশ টেলিভিশন কার্যালয়ে গিয়ে পৌঁছাবে বিশ্বকাপ ট্রফি। দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশেষ অনুষ্ঠানের আকর্ষণ হয়ে থাকবে ক্রিকেট বিশ্বের মূল্যবান কাপটি। সাড়ে বারটা নাগাদ পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখান থেকে কাপ নিয়ে রোড’শো রওয়ানা হবে ধানমন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উদ্দেশ্যে, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ‘হংকং’ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে। পুরষ্কার বিতরণীতে উপস্থিত থাকবেন বিসিবি সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল। অনুষ্ঠান শেষে বিসিএস কম্পিউটার সিটিতে নেওয়া হবে ট্রফি। দর্শকদের জন্য কাপ দেখার এবং ছবি তোলার সুযোগ থাকবে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। এরপর বিসিবির কাছে বিশ্বকাপ ট্রফি হস্তান্তর করবে হিরো হোন্ডা।
বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে বিসিবিরও জাঁকজমকপূর্ণ রোড’শো করার পরিকল্পনা আছে। এলওসি পরিচালক আলী আহসান বাবু বাংলানিউজকে জানান, দেশের মানুষের মধ্যে বিশ্বকাপের উন্মাদনা বাড়িয়ে দিতে বিশেষ র্যালির ব্যবস্থা করা হবে। ট্রফি বুঝে পাওয়ার পরে আমাদের পরিকল্পনার কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করবো। ”
আসলে বিমানবন্দর থেকেই ট্রফি নিয়ে রোড’শো করার পরিকল্পনা ছিলো বিসিবির। কিন্তু বিশেষ কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। এমনকি বুধবার বিশ্বকাপ ট্রফি ঢাকায় আসার খবরটিও গোপন রাখা হয়েছে। খোয়া যাওয়ার ভয়ে নয়! গোপন করা হয়েছে একটি বিশেষ কারণে। বুধবার ভারতে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে শোভাযাত্রা হওয়ার কথা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) আরেক স্পন্সর রিবোক অনুষ্ঠানটি করছে রেপ্লিকা ট্রফি নিয়ে। কিন্তু রেপ্লিকার কথা ভারতের মানুষকে না জানাতে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ট্রফি আসার খবর প্রচার করা হয়নি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র কর্মকর্তারা মুখে কুলুপ এঁেট বসে আছেন। বিশ্বকাপের স্থানীয় আয়োজক কমিটি (এলওসি) সবকিছু জানার পরেও ট্রফি আসার খবর অস্বীকার করছেন। এর কারণ একটিই পাছে আইসিসির ধমক খেতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১১