ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

ওয়েবসাইট ক্রাশ: ফাইনালের টিকিট বিক্রি হয়নি

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১১

ঢাকা: উপমহাদেশের মাটিতে ক্রিকেট বিশ্বকাপের টিকিটের চাহিদার কথা সবারই জানা। গ্রুপ পর্বের ম্যাচের জন্য একটি টিকিট পেতে কয়েক রাত জেগে থাকা, সারাদিন রোদে পুড়ে লাইনে দাঁড়ানো, শৃঙ্খলা রাখতে গিয়ে পুলিশি লাঠিচার্জ অনেক কিছুই হয়েছে।

এবার ফাইনালের কিছু টিকিট বিক্রি করতে গিয়ে বিধ্বস্ত হলো ওয়েবসাইটই।

সোমবার দুপুর থেকে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচের জন্য কিছু টিকিট অনলাইনে বিক্রি শুরু করেছিলো আইসিসির টিকেটিং পার্টনার কায়াজুঙ্গা.কম। কিন্ত মাত্র কয়েক মিনিটেই লাখ লাখ হিট হতে থাকে সম্ভাব্য ক্রেতাদের দিক থেকে। দর্শকদের বিপুল চাপ ওয়েবসাইটটি সার্ভার সামাল দিতে না পারায় বিক্রি শুরুর মাত্র পাঁচ মিনিটেই ক্রাশ করে বসে ওয়েব সাইটটি।

কায়াজুঙ্গার জনৈক স্টাফ ক্রিকইনফোকে জানান, প্রায় ১০ মিনিটের মধ্যে প্রায় দশ লাখের কাছাকাছি হিট হয়েছে। এ ধরনের চাপ সামলাতে প্রায় ফুটবল মাঠের সমান আকৃতির সার্ভার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি। অনেকে ক্রেতা প্রক্রিয়ার মাঝামাঝি যেয়ে সাইবার স্পেসের কোথাও ঝুলে থাকেন। পরে ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় জানিয়ে দেয় সোমবার সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচের কোনো টিকিট-ই বিক্রি করা হয়নি। তবে সম্ভাব্য টিকিট বিক্রির সময় সম্পর্কে কিছু জানায়নি কায়াজুঙ্গা।

এদিকে টিকিট না পেয়ে অনেক ক্রিকেট ভক্তই ইএসপিএন ক্রিকইনফোর নিকট তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিশ্বকাপের ফাইনালের জন্য টিকেট দুষ্প্রাপ্যতাকেই দায়ী করেন তারা। ২ এপ্রিল ফাইনালের জন্য মাত্র চার হাজার টিকিট থাকছে সাধারণের জন্য। কিন্তু উপমহাদেশের মাটিতে ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য কি করে মাত্র ৩৩ হাজার আসনের একটি ভেন্যুকে ফাইনাল ম্যাচের জন্য রাখা হলো .. ক্রিকেট কর্তাদের সাধারণ জ্ঞান নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামটি ছোট ভেন্যুগুলোর একটি। মোহালির (২৭ হাজার ৫০০) পরই ওয়াংখেড়ের অবস্থান। অন্যান্য ভেন্যুগুলোর মধ্যে ইডেন গার্ডেন ৬৩ হাজার (সংস্কারের পর), সরদার প্যাটেল স্টেডিয়াম ৫৪ হাজার, এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়াম ৪৫ হাজার, ফিরোজ শাহ কোটলা ৪২ হাজার, নাগপুর ৪৫ হাজার, চেন্নাস্বামী ৩৭ হাজার আসন ক্ষমতার।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘন্টা, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।