জেনেভা: আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে বুধবার জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেন ও জার্মানি। তবে হোঁচট খেয়েছে ব্রাজিল।
সুইজারল্যান্ডের স্তাদে ডি জেনেভা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও পর্তুগাল। ১৪ মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির ঠেলে দেওয়া বলে নিশানাভেদ করেন রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড অ্যাঞ্জেলো ডি মারিয়া। তবে সাত মিনিট পর মেসিদের গোলের পাল্টা জবাব দিয়ে পর্তুগালকে খেলায় ফেরান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া আর্জেন্টিনা গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করে ৪০ মিনিটে। এজেকুয়েল লাভেজ্জির চোখধাঁধানো শট চলে যায় গোলপোস্টের ওপর দিয়ে। এই অর্ধে সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় উভয় দল।
৫৬ মিনিটে ডি-বক্সের দুই গজ দূরে থেকেও বল জালে জড়াতে পারেননি পর্তুগিজ স্ট্রাইকার হুগো আলমেইদা। সুযোগ হাত ছাড়া করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড রোনালদোও। পর্তুগাল গোল মিসের মহড়া দিলেও ভাগ্য বঞ্চিত বলা যায় আর্জেন্টিনাকে। নইলে ৮৬ মিনিটে আর্জেন্টাইন বদলি খেলোয়াড় হাভিয়ের পাস্তোর শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে।
সে যাই হোক, ৯০ মিনিটে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় হুয়ান ম্যানুয়েলকে অবৈধভাবে ফেলে দিলে বেজে ওঠে রেফারির বাঁশি। স্পট কিক থেকে গোল করে আর্জেন্টাইনদের জয়ে মাতান ফিফা’র বর্ষসেরা খেলোয়াড় মেসি। সর্বশেষ ১৯৭২ সালে মুখোমুখি হয়েছিলো উভয় দল।
মেসিরা জিতলেও হার মেনেছে ২০১৪ সালের আয়োজক ব্রাজিল। তরুণদের নিয়ে ফ্রান্সের বিপক্ষে একাদশ সাজিয়ে ছিলেন কোচ মানো মেনেজেস। অভিজ্ঞদের মধ্যে ছিলেন হুলিও সিজার, দানি আলভেস ও অধিনায়ক রবিনহো। তবে জয় উপহার দিতে পারেনি শিষ্যরা।
হার থেকে ভুলশুধরানোর কথা বলেন কোচ,“সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করবো। কারণ আমাদের লক্ষ্য ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ। ”
এজয়ে টানা পঞ্চম ম্যাচ অপরাজিত থাকলো ফ্রান্স। ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে বেলারুসের কাছে ১-০ গোলে হারের পর উজ্জীবিত লঁরা ব্ল্যার দল জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে। নিজেদের মাঠে করিম বেঞ্জেমার একমাত্র গোলে দশজনের ব্রাজিলকে হারিয়েছে তারা।
এদিকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেন ১-০ গোলে কলম্বিয়াকে, নেদারল্যান্ডস একই ব্যবধানে অস্ট্রিয়াকে, ইংল্যান্ড ২-১ এ ডেনমার্ককে ও ক্রোশিয়া ৪-২ ব্যবধানে হারায় চেক প্রজাতন্ত্রকে। এছাড়া ১-১ গোলে ড্র হয়েছে জার্মানি ও ইতালির মধ্যকার খেলা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১১