ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

ক্রিকেটারদের মিলন মেলায় টেস্ট ক্যাপ উপহার

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১১
ক্রিকেটারদের মিলন মেলায় টেস্ট ক্যাপ উপহার

ঢাকা: অভিনন্দন বার্তা চির সবুজ। একটু দেরিতে অভিনন্দিত হলেও ক্ষতি নেই, এমনই তো বলেছেন ক্রীড়াঙ্গনের সূর্যসন্তান ক্রিকেটারা।

টেস্ট ক্রিকেটের দশ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানটি নির্ধারিত সময়ের প্রায় আড়াই মাস পরে আয়োজন করে, সম্বর্ধনা দেওয়া হলো ৫৯ জনকে। যাদের পরিচয় টেস্ট ক্রিকেটার।

প্রথম থেকে সর্বশেষ অভিষিক্ত টেস্ট ক্রিকেটারকে দেওয়া হয়েছে সম্বর্ধনা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে টেস্ট ক্যাপ।

ক্রিকেটারদের পদচারণায় মুখোরিত হয়ে উঠেছিলো আর্মি স্টেডিয়ামের জমকালো অনুষ্ঠান। ফিরে ফিরে এসেছে দশ বছর আগের স্মৃতি। অতীত হাতরে ফিরেছেন অনেকে। সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের যেমন বললেন,“খুবই আনন্দ হচ্ছে। অতীত স্মৃতিগুলো আমাদেরকে নিয়ে যাচ্ছে সেই সোনালী দিনে। এমন অনেক কথা আছে যা শুধু বন্ধুদের কাছে বলা যায়। আজ আমরা সেই কথাগুলো বলছি। দেরিতে হলেও ক্ষতি নেই। বিসিবি আমাদেরকে একমঞ্চে নিয়ে এসেছে, এজন্য কর্মকর্তারা ধন্যবাদ পেতে পারেন। ”

২০০০ সালের ২৬ জুন নবীনতম সদস্য হিসেবে টেস্ট ক্লাবে নাম খেলায় বাংলাদেশ। ওই বছর ১০ অক্টোবর নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের নেতৃত্বে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্ট খেলে। দেখতে দেখতে দশটি বছর পেরিয়ে গেছে। শৈশব পেরিয়ে কখন যেন তরুণ্যে এসে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট। নাঈমুর রহমানের দৃষ্টিতে অসম্ভব সুন্দর একটি দিন উপহার দিয়েছে বিসিবি। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন তিনি,“এতটা আনন্দ পাব এই অনুষ্ঠানে আসার আগে বুঝতে পারিনি। এখন মনে হচ্ছে অনুষ্ঠানে না এলে অপ্রাপ্তি থেকে যেতো। দেরিতে হলেও টেস্ট ক্রিকেটের দশবছর পূর্তি অনুষ্ঠানটি করেছে বিসিবি। সেজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ। ”

মেহরাব হোসেন অপি, হাসিবুল হোসেন শান্ত, হান্নান সরকারের মতো অনেকের জন্য দশবছর পূর্তি অনুষ্ঠান হয়ে দাঁড়িয়েছিলো অস্তিত্ব জানান দেওয়ার। তবে কাজের ব্যস্ততা এবং প্রবাসে থাকায় কেউ কেউ উপস্থিত হতে পারেননি বিসিবির আয়োজনে। আল শাহরিয়ার রোকন নিউজিল্যান্ডে কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যক্তিগত কারণে আকরাম খান ও তামিম ইকবাল দেশের বাইরে। মাশরাফি বিন মুর্তজা চিকিৎসা নিতে শ্রীলঙ্কায় যাচ্ছেন। ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ায় বর্তমান জাতীয় দলের অনেকে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি।

গ্রামীণফোনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুয়িত। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার। তবে মূল আকর্ষণ ছিলেন ক্রিকেটারাই।
 
ক্রেস্টে সাজিয়ে ক্রিকেটারদের হাতে টেস্ট ক্যাপ তুলে দেন বিসিবি সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল। মঞ্চে আহবান জানিয়ে বিশেষ সম্মান দেখানো হয়েছে টেস্ট অধিনায়কদের। সাত অধিনায়কের ছয়জন ছিলেন অনুষ্ঠানে। অন্যজন হলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।

বিকেল পাঁচটা থেকে শুরু হয় অনুষ্ঠান। প্রথমে সঙ্গীত পরিবেশন। সন্ধ্যার পরে হয়ে মূল অনুষ্ঠান, খেলোয়াড়দের সম্মাননা প্রদান। শেষে আয়ুব বাচ্চু ও জেমস মাতিয়ে রাখেন উপস্থিত দর্শকদের।

আয়োজক গ্রামীণফোনের কাছ থেকে দুই কোটি টাকায় পায় বিসিবি। যারমধ্য থেকে ৫০ লাখ টাকা দুস্থ এবং অসচ্ছল ক্রিকেটার, ক্রিকেট সংগঠক, আম্পায়র এবং ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট এমন ২৫ জনকে দেওয়া হবে বলে অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেন বিসিবি সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল।

প্রয়াত টেস্ট ক্রিকেটার মাঞ্জারুল ইসলাম রানার টেস্ট ক্যাপটি দিতে ভুলে যায়নি বিসিবি। রানার ক্যাপ দেওয়া হয় সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের হাতে।

অনুষ্ঠানটি ক্রিকেটারদের জন্য উপভোগ্য হয়ে ওঠায় খুশি হয়েছেন বিসিবি কর্মকর্তারা। সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহাবুবুল আনাম বলেন,“আমাদের চাওয়ার কিছু নেই। ক্রিকেটাররা খুশি হয়েছে, এখানেই আমাদের স্বার্থকতা। ”

বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘন্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।