ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

বিসিবির চাকরি ছাড়লেন কোচ সালাউদ্দিন

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১১
বিসিবির চাকরি ছাড়লেন কোচ সালাউদ্দিন

ঢাকা: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’কে বিদায় বলে দিলেন জাতীয় দলের সাবেক ফিল্ডিং কোচ মো. সালাউদ্দিন। শনিবার বিসিবির চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।

‘হাই পারফরমেন্স’ কোচের চাকির নিয়ে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন তিনি।

মূলত ইউনিভার্সিটি কেবাং সান মালয়েশিয়া’র হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন সালাউদ্দিন। এছাড়া দেশটির ক্রিকেট উন্নয়নে সমন্বয়কের ভূমিকায়ও থাকবেন। মার্চের প্রথম সপ্তাহে মালয়েশিয়াতে যাবেন তিনি।

কেবাং সান বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা করেন দেশের প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিতে প্রধান প্রশিক্ষক হতে যাচ্ছেন এই বাংলাদেশি। মাসে সাড়ে তিন হাজার মার্কিন ডলার বেতনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দুই বছরের জন্য চুক্তি করেছেন। বিসিবিতে উপেক্ষিত এই কোচ অনেক সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন প্রবাসে। আবাসন, পরিবহন এবং চিকিৎসা সুবিধার সঙ্গে বছরে দু’বার দেশে যাওয়া আসার বিমান টিকিট দেবে বিশ্ববিদ্যালয়।

বিসিবির চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে সালাউদ্দিন বলেন,“একজন কোচ যে কোন জায়গায় কাজ করতে পারে। জাতীয় দলের সঙ্গে ছিলাম, এরপর একাডেমিতে কাজ করেছি। এতে আমার কোন সমস্যা হয়নি। কারণ আমি কোচ। একজন কোচ সব জায়গায় প্রশিক্ষণ দেবে। ডেভ হোয়াটমোরকে দেখেন। তিনি শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ জয়ী দলের কোচ ছিলেন। বাংলাদেশেও সফল হয়েছেন। অথচ ভারতে একাডেমির কোচের কাজ করছেন। কলকাতা নাইটরাইডার্সে কাজ করছেন। আমার কোন সমস্যা হবে না। বরং খুশি মনে কাজ করবো। অনেক কিছু শিখা যাবে। ”

২০০৫ সালের অক্টোবর থেকে বিসিবিতে কোচের চাকরি নেন সালাউদ্দিন। একাডেমির সাবেক কোচ রিচার্ড ম্যাকিন্সের সহকারী হিসেবে কাজ করেন। এরপর জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়। টানা ২০০৯ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের সঙ্গে ছিলেন। বিসিবি চুক্তি নবায়ন না করায় তিন মাস বেকার থাকতে হয় সালাউদ্দিনকে। ২০১০ সালের এপ্রিলে ফের একাডেমির কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় বিসিবি। অবশ্য ২০১০ সালেও ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ইংল্যান্ডে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন।

সালাউদ্দিনের কোচিং ক্যারিয়ার শুরু হয় বিকেএসপি থেকে। ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিকেএসপিতে চাকরি করেন। তার প্রশিক্ষণে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব টানা দুই মৌসুম ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়। বর্তমানে গাজী ট্যাঙ্ক ক্রিকেটার্সের কোচ তিনি।

এদিকে সালাউদ্দিনের চলে যাওয়াকে বাংলাদেশের জন্য বড় ক্ষতি মনে করছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি সিডন্স। বলেন,“বাংলাদেশ একজন ভালো কোচ হারাতে যাচ্ছে। আমি বলবো দেশের সেরা কোচ ছিলো সে। ”

ক্রিকেটাররাও সালাউদ্দিনের বিদায়টাকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না। বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের মতে,“অন্যদেরটা বলতে পারবো না। তবে ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে আমার। সালাউদ্দিন ভাই থাকলে আমি কিছু শিখতে পারতাম। ”
   
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘন্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।