ঢাকা: বিশ্বকাপের স্থানীয় আয়োজক কমিটি (এলওসি)’র কাজ কী? প্রশ্নটা একজন ক্রিকেট কর্তাব্যক্তির। অনেক ভেবেচিন্তেও যথার্থ উত্তর খুঁজে পাননি খোদ প্রশ্ন কর্তা।
বিশ্বকাপের বাকি আছে ৪০ দিন। অথচ এখনো সেচ্ছাসেবক বাছাই হয়নি। নিয়োগের প্রক্রিয়াও খুবএকটা এগোয়নি। এমনকি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের তরফ থেকে পাওয়া ছোট একটি দায়িত্ব ঠিক ভাবে পালন করছে না এলওসি।
সামাজিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে প্রায় ২৪০ জন ুদে ক্রিকেটার খুঁজতে বলা হয়েছে এলওসিকে। বাছাইটা যাতে স্বচ্ছ হয় সেজন্য অনির্বাচনী পদ্ধতিতে স্কুল নির্বাচনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এলওসি এখনো স্কুলগুলো নিয়ে একটি প্রদর্শনী টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারেনি। সম্ভাব্য সময়ের মধ্যে আটকে আছে। এবিষয়ে জানাতে চাইলে এলওসির পরিচালক আলী আহসান বাবু বাংলানিউজকে বলেন,“বিশ্বকাপের আগে হয়ে যাবে। অনেক কাজতো গুছিয়ে উঠতে পারছি না। দেখবেন সমস্যা হবে না!”
আইসিসির সঙ্গে ইউনিএইস এর চুক্তি থাকায় বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচের আগে ক্রিকেটারদের হাত ধরে স্কুল শিক্ষার্থীরাও মাঠে নামবেন। একটি ম্যাচে ৩০ জন স্কুল শিক্ষার্থী থাকবে।
ঢাকা এবং চট্টগ্রামের স্কুলগুলো থেকে এই ছেলে এবং মেয়ে বাছাই করা হবে। এলওসি জানায়, আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে বিশ্বকাপ ভেন্যুর শহরে একটি করে প্রদর্শনী ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। ঢাকা ২৫ থেকে ৪০টি স্কুল এবং চট্টগ্রামে ২০ থেকে ২৫টি স্কুল অংশ নেবে ওই টুর্নামেন্টে। সামান্য এই কাজটুকুও ক্রিকেট বোর্ডের গেম ডেভলপমেন্টের সাহায্য ছাড়া হচ্ছে না। বাবু বলেন,“আমরা তো জানি না কোন স্কুল ক্রিকেট খেলে। সেজন্যই বিসিবির গেম ডেভলপমেন্টের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। ”
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘন্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১১