ঢাকা: হারতে হারতে শেষে জয়টা গাজী ট্যাঙ্ক ক্রিকেটার্সেরই হয়েছে। নাঈম ইসলাম এবং সানজামুল ইসলামের দুটি অর্ধশতকে সূর্যতরুণকে পাঁচ উইকেটে হারায় গাজী।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১৯১ রানে অল-আউট হয় সূর্যতরুণ। রাজিন সালেহ ৫৮, দেভেন্দ্র সিং ৪০ এবং জুনায়েদ সিদ্দিকী ৩৪ রান করেন। গাজী ট্যাঙ্কের সৈয়দ রাসেল এবং অলক তিনটি করে ও নাঈম দুটি উইকেট নেন।
ছোট পুঁজি নিয়েও গাজীর ওপর চেপে বসেছিলো সূর্যতরুণ। প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানদের ফিরিয়ে দিয়ে জয়ের সম্ভাবনাও জাগিয়ে তোলে। শাহরিয়ার নাফিস, সাব্বির রহমান এবং অলককে ফেরালেও নাঈম এবং সানজামুলের ষষ্ঠ জুটিকে ভাঙ্গতে পারেনি। এই দুই ব্যাটসম্যানই কাল হয়ে দাঁড়ায় সূর্যতরুণের জন্য। শেষ পর্যন্ত খেলে নাঈম ৬৮ এবং সানজামুল ৫৬ রান তুলে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
কোয়াশার কারণে বিকেএসপি মাঠে ম্যাচের ওভার সীমিত করে আনা হয়। নির্ধারিত ৩৪ ওভারে আট উইকেটে ১৫৪ রান তোলে ওল্ডডিওএইচএস। নাসির জামশেদ ৫১ এবং রাশেদ হানিফ হার না মানা ৩৯ রান করেন। দোলেশ্বরের পক্ষে কামরান ইউনুস তিনটি এবং কায়সার আব্বাস ও নিজামউদ্দিন দুটি করে উইকেট নেন।
জবাবে ওল্ডডিওএইচএসরে বোলিং তোপের মুখে ১১৭ রানে অল-আউট হয়ে যায় প্রাইম দোলেশ্বর। কায়সার ৩৭ এবং উত্তম কুমার ২৩ রান করেন। ওল্ডডিওএইচএস’র পক্ষে ফরহাদ রেজা ও রাশেদ হানিফ তিনটি করে উইকেট নেন।
ফতুল্লাহ খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে লিটন দাসের ৫৬, আসিফ আহমেদের ২৭, সৌম্য সরকারের ৫৩ ও মো. ফুরকানের ৩০ রানে ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার আগে বিকেএসপি পেয়ে যায় ২৪৭ রানের পুঁজি। জবাবে ১৯৩ রানে সবগুলো উইকেট হারিয়ে বসে ওরিয়েন্ট। খুররম শাহেদ ৮৫, আসিফ হোসেন ৩৮ এবং সানজামুল হক ৩২ রান করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘন্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১১