ঢাকা: আপাতত ২৩ জনের দল নিয়ে শুরু হচ্ছে অনুশীলন। এক সপ্তাহের মধ্যে হয়তো সংখ্যাটা ১৫’তে নেমে আসবে।
অবশ্য এই মুহূর্তে সেরা ১৫ জনকে বেছে নেওয়া মোটেও সহজ কাজ নয়। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটে শাহরিয়ার নাফিস নিয়মিত রান পাচ্ছেন। অলক কাপালীকেও বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে। মাশরাফি বিন মুর্তজার হাঁটুর চোট সারেনি। পেসার কাজী সাহাদাত হোসেনও নিয়মিত উইকেট শিকার করছেন। অতএব জেমি যত সহজে সেরা ১৫ জনকে বেছে নিতে পারছেন, অধিনায়ক সাকিব এবং নির্বাচকদের জন্য কাজটি অতটা সহজ হবে না।
সর্বশেষ দুই সিরিজের ১৫ জনকেই সেরা মনে হচ্ছে জেমির কাছে। হওয়াই কথা। লিগের শুরু থেকে না থাকায় অনেক খোঁজখবরই জেমির নেওয়া হয়নি। তবে নির্বাচক এবং বিভিন্নজনের কাছে শুনে যে ধারণা পেয়েছেন, এতেও এই অস্ট্রেলিয়ানকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে,“শাহরিয়ার নাফিসের পারফরমেন্সে আমি খুবই খুশি। দুই ম্যাচে শতক হাঁকিয়েছে। কয়েকটি অপরাজিত ইনিংসও খেলেছে। নি:সন্দেহে ইমরুল এবং জুনায়েদের ওপর চাপ তৈরি করছে সে। ”
তবে চূড়ান্ত স্কোয়াডে যাকেই নেওয়া হোক না কেন, বিশ্বকাপে প্রত্যেকে সেরাটা উজার করে দেবেন বলে জেমির বিশ্বাস,“বিশ্বকাপে ভালো করতে হলে আমাদেরকে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। সেভাবে প্রস্তুত হতে হবে। ”
অধিনায়ক এবং সহ-অধিনাক নিয়েও খুশি প্রধান কোচ,“অধিনায়ক এবং সহ-অধিনায়ক হিসেবে যোগ্য দু’জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে, একটা লম্বা সময়ধরে নেতৃত্ব দেওয়ায় সুবিধা হবে। নি:সন্দেহে তারা দু’জন ভালো বন্ধু। মাঠে ভালো কাজ করবে বলে আমার বিশ্বাস। চারপাঁচ জনের একটি লিডার গ্রুপ আছে, তারা নিশ্চয়ই সাকিব এবং তামিমকে সাহায্য করবে। ”
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘন্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১১