ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

অধিনায়ক মাশরাফির প্রথম

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১০
অধিনায়ক মাশরাফির প্রথম

ব্রিস্টল: কবে থেকে ক্রিকেটাররা ইংলিশদের হারানোর স্বপ্ন দেখছে দিনক্ষণ হুবহু বলে দেওয়া হয়তো সম্ভব নয়। তবে এটুকু বলা যায় একদিনের ক্রিকেটে যখন থেকে জিততে শিখেছে তখন থেকেই বাংলাদেশের স্বপ্নের শুরু।

জয় এসেছে ১২টি একদিনের ম্যাচ খেলার পর।

অর্থাৎ একদিনের ক্রিকেটে ১৩তম ম্যাচে শনিবার জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। টেস্ট মিলিয়ে ২১তম ম্যাচ ছিলো এটি। প্রথম সাফল্যের উচ্ছ্বাস একটু বেশিই হওয়ার কথা। ইংল্যান্ডর বিপক্ষে এই সাফল্য সত্যিই অনেক আনন্দ দিয়েছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। এই মুহূর্তে একটি জয় খুবই দরকার ছিলো তাদের জন্য।

বিশেষ করে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার জন্য ম্যাচটি স্মরণীয় হয়েই থাকবে। নেতৃত্ব ফিরে পাওয়ার পর প্রথম অভিযানেই সফল নড়াইল এক্সপ্রেস। অধিনায়ক হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে এটিই প্রথম জয়। এমন দিন উপভোগ করতে কার না ভাল লাগে। শুনুন মাশরাফির মুখে,“খুবই ভাল লাগছে। আট মাস পরে পাওয়া এ জয় দেখে খুশি হবেন দেশের মানুষ। সাজঘরে আমরা খুবই আনন্দ করেছি। ”

ব্যাটিংয়ে ২২ রান আর বোলিংয়ে ১০ ওভারে ৪২ রান দিয়ে দুই উইকেট শিকারি মুর্তজা ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন। যুদ্ধের ময়দানে সফল্যের গোমড় বলে দিয়েছেন মাশরাফি,“গত আট মাসে আমরা কোন জয় পাইনি ঠিক। তবে কোচের অধীনে কঠোর পরিশ্রম করেছি। আজও (শবিবার) আমরা শ্রম দিয়ে ম্যাচ জিতেছি। ”

সতীর্থ খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করার কৌশল একটু ভিন্ন। শতভাগ আদায় করে নিতে মাঠে সবাইকে চাঙ্গা রাখতে চেষ্টা করেন অধিনায়ক। বলেন,“আমি প্রত্যেক বোলারকে বলেছি শতভাগ দিয়ে খেলার জন্য। এছাড়া আমরা পাওয়ার প্লে এবং মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট পেয়েছি। ”

প্রথম ম্যাচে ৮৪ রান পাওয়া ইংলিশ ব্যাটসম্যান ইয়ান বেল ফিল্ডিংয়ের সময় বাঁ পায়ে চোট পেয়েছেন। যে কারণে নবম উইকেট পতনের আগ পর্যন্ত ব্যাটিংয়ে আসেননি। বেলকে এ অবস্থায় ব্যাটিংয়ে আসতে দেখে অবাকই হয়েছেন সিমার মাশরাফি,“আমি ভাবতেও পারিনি বেল মাঠে আসবে। কিন্তু সে দলের জন্য এসেছে। ”

শফিউলের প্রশংসা না করে পারেননি অধিনায়ক। তাঁর দৃষ্টিতে,“শফিউল খুবই ভালো করেছে। বিশেষ করে ট্রট যখন মিডঅন এবং মিডঅফ দিয়ে খেলার চেষ্টা করছিলো তখন সে বলে গতি কমিয়ে দিয়েছে। ”

ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসও বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। ব্যর্থতার দায় মাথা পেতে নিয়েছেন নিজেই। তাঁর কণ্ঠ থেকে বেরিয়ে এসেছে হতাশা,“আমরা আজ খেলায় ছিলাম না। যার প্রমাণ এই পরাজয়”

পরাজয়ের কারণ হিসেবে ইংলিশ অধিনায়ক ব্যাখ্যা দিয়েছেন,“সত্যি বলতে কি আমাদের বোলিং ঠিক ছিলো। কিন্তু ফিল্ডিংটা ভাল হয়নি। ২৩৭ রান তাড়া করতে যেয়ে যাচ্ছে তাই ব্যাটিং করেছি। ”

“আমরা নিজেদেরকে দুষছি। কিন্তু বাংলাদেশকে জয়ের কৃতিত্ব দিতেই হবে। ছোট স্কোর নিয়েও খুবই ভালোভাবে এগিয়েছে তারা। নিয়মিত উইকেট তুলে নিয়ে আমাদের ওপর চাপ তৈরি করতে পেরেছে” বলেন স্ট্রাউস।  

সিরিজ নিশ্চিত করতে আগাম বার্তাও দিয়েছেন স্ট্রাউস। পাকা সেনাপতির মতোই বলেছেন,“সোমবার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ হবে। জয়টা আমাদের প্রাপ্য। এ ম্যাচে কোথায় গলদ ছিলো তা বুঝতে পেরেছি। নিশ্চয় আগামী ম্যাচে সেটা হবে না। ”

বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৫ ঘন্টা, জুলাই ১১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।