ঢাকা: বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জন্য যে দুটি ব্যাংককে টিকিট বিক্রির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিটি ব্যাংক তার মধ্যে অন্যতম। কাজটি যে কতটা কঠিন সেটা উপলদ্ধি করছে ব্যাংকটি।
আইসিসির স্পন্সর মানি গ্রামের সবচেয়ে বড় দুটি অপারেটিং পার্টনার হচ্ছে সিটি ও অগ্রণী ব্যাংক। ব্যাংক দুটি সারা দেশে ৮০টি শাখার মাধ্যমে ২ জানুয়ারি থেকে একযোগে শুরু করবে টিকিট বিক্রি।
বেশিরভাগ টিকিট বিক্রি হবে সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে। দেশের সবচেয়ে বড় দুটি শহর ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১৬টি শাখায় এই টিকিট বিক্রি করবে। এরই মধ্যে ব্যাংকটি টিকিট বিক্রি নিয়ে ক্রিকেট বোর্ডের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে। ব্যাংকের কর্মকর্তারা অভিযোগ তুলেছেন টিকিট বিক্রি নিয়ে কতগুলো বিষয়ে তারা এখনো অন্ধকারে রয়েছেন।
শুক্রবার এ বিষয়ে তড়িঘড়ি এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ব্যাংকটি। ব্যাংকের প্রধান যোগোযোগ কর্মকর্তা মাশরুর আরেফিন বলেন,‘‘প্রতিটি শাখা থেকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৪৮০টি টিকিট ইস্যু করতে পারবেন। এছাড়া টিকিটের কোন নমুনা কপিও তাদেরকে দেওয়া হয়নি। ”
তিনি বলেন,‘‘আমরা জানি টিকেটের প্রচুর চাহিদা থাকবে। কিন্তু আমাদের এক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। গোটা ব্যবস্থাটি আরটিকেটিএস পদ্ধতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। এই ওয়েবসাইটি আবার নিয়ন্ত্রণ করবে আইসিসির টিকেটিং অংশীদার কায়াজুনগা। এছাড়া ইন্টারনেটের স্পিডের ওপরও আমাদের কোনো হাত থাকবে না। একজনের কাছে একটি টিকিট ইস্যু করতে তিন মিনিটের বেশি সময় লেগে যেতে পারে। এতে ক্রেতাদের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হলে তা আমাদের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। ”
মাশরুরের দাবি,‘‘ নিরাপত্তার বিষয়ে বিসিবিকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করলেও তারা কোন নিশ্চয়তা পাননি। এমনকি বিসিবি নির্দিষ্ট করে দেয়নি ঠিক কতগুলো টিকিট জনসাধারণের কাছে তারা বিক্রি করতে পারবেন। বাববার বলার পরও এ ব্যাপারে কোনো কর্ণপাত করেনি বিসিবি। ”
তিনি বলেন,‘‘এমনকি আমরা যে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি ব্যাখ্যা করছি বিসিবি এটারও বিপক্ষে। কিন্তু বাধ্য হয়েই আমাদের এটি করতে হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদের উদ্বেগের বিষয়টি জনগণের কাছে প্রকাশের পরামর্শ দেন। ”
সংবাদ সম্মেলন চলাকালে বিসিবির প্রভাবশালী এক কর্মকর্তা তাকে ফোন করে অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলেন বলে দাবি করেন মাশরুর। তবে সেটা এখনো পরিস্কার নয় কেন বিসিবি তাদেরকে (ব্যাংক) সংবাদ সম্মেলন করতে দিতে বাধা দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘন্টা, ৩১ ডিসেম্বর