ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

বিসিবিতে সৌজন্য টিকিটের ছড়াছড়ি

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১০
বিসিবিতে সৌজন্য টিকিটের ছড়াছড়ি

ঢাকা: বিশ্বকাপে খেলা দেখার জন্য মন্ত্রী, সাংসদ, আমলা এবং ক্রীড়া ফেডারেশগুলোর কর্মকর্তাদের সৌজন্য টিকিট দেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রতি ম্যাচে ২, ৫১১টি সৌজন্য টিকিট দেওয়া হবে।

টিকিট এন্ড সিটিং কমিটির চেয়ারম্যান জিএস হাসান তামিম যা বলেছেন, তাতে সৌজন্য টিকিটের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সৌজন্য টিকিটের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিদিন চাপ বাড়ছে বলে জানান তামিম।

সংখ্যাটা বাড়ার যৌক্তিক কারণও আছে। মন্ত্রী এবং সাংসদদের পারিবারের সদস্যদের বাদ রেখে হিসেবটা করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সরকারী দফতর এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদর দফতরের কর্মকর্তাদের জন্য সৌজন্য টিকিট বরাদ্দ করা হয়নি। অতএব সৌজন্য টিকিটের তালিকায় এই সকল প্রতিষ্ঠানগুলো নাম শেষপর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

সৌজন্য টিকিটের তালিকায় ঢাকার ৭২টি কাবের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককেও রাখা হয়েছে। এছাড়া ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার এডিটরদের জন্য প্রতি ম্যাচে ৬০টি করে সৌজন্য টিকিট বরাদ্দ আছে। বিসিবির কর্মকর্তা, কর্মচারি এবং কাউন্সিলরাও বিনামূল্যে টিকিট পাবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জন্য সৌজন্য টিকিট রাখা হয়েছে ১২২টি।

জেলা এবং বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার জন্য টিকিট কেনার সুযোগ করে দিচ্ছে বিসিবি। প্রতিটি জেলা এবং বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা একটি ম্যাচে ৩০টি করে টিকিট কিনতে পারবেন। ৬৪টি জেলা এবং ৭টি বিভাগীয় ক্রীড়া কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় মোট ১৯২০টি টিকিট বিসিবি থেকে দেওয়া হবে বলে জানান টিকিট এন্ড সিটিং কমিটির চেয়ারম্যান।

ঢাকা প্রিমিয়ার, প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ এবং তৃতীয় বিভাগের ৭২টি কাবের জন্য প্রতি ম্যাচে ১৭৪০টি টিকিট বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। নগদ টাকা দিয়ে এই টিকিটগুলো বিসিবির ব্যবস্থাপনায় সংগ্রহ করার সুযোগ পাবেন কাব কর্মকর্তারা। প্রিমিয়ার বিভাগের দলের জন্য ৩০টি, প্রথম বিভাগের জন্য ২৫টি, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বিভাগের জন্য ২০টি করে টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হসপিটালিটি বক্সসহ মোট ২৫ হাজার ৫০৯টি আসন রয়েছে। যারমধ্যে ১৫ হাজার টিকিট সাধারণ দর্শকদের জন্য বিক্রি করা হবে। বাকি ১০,৫০৯টি টিকিট থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল নেবে ১২৭০টি করে টিকিট।

মোট কথা ৯,২৩৯টি টিকিট সাধারণ মানুষের ধরাছোয়ার বাইরে। এরমধ্যে সৌজন্য এবং বিশেষ ব্যাবস্থায় যে ৬,১৭১টি দেওয়ার পরেও বিসিবির হাতে থাকবে ৩০৬৮টি টিকিট। সেখান থেকে হসপিটালিটি বক্সের ৪৪২টি (কর্পোরেট বক্স দক্ষিণ ২৪০ এবং হসপিটালিটি গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড ২৪২টি আসন) আসন বিক্রি হবে অভিজাত দর্শকদের জন্য।

এর আগে অনলাইনে বিক্রি হয়েছে পাঁচ শতাংশ টিকিট। সংখ্যার হিসেবে ১২৭৫টি। অতিরিক্ত প্রায় ১,৩০০ টিকিটের হিসেব এখনো বিসিবি থেকে দিতে পারেনি। এই টিকিটগুলো কোথায় এবং কাদের জন্য বরাদ্ধ, জানে না টিকিট এন্ড সিটিং কমিটির কর্মকর্তারা।

অবশ্য টিকিট এন্ড সিটিং কমিটি চেয়ারম্যান জিএস হাসান তামিম সাংবাদিকদের জানান,“সৌজন্য এবং বিশেষ বরাদ্দের টিকিট সংখ্যা কম বেশি হতে পারে। ”

অথচ সোমবার রাতে বিবিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আইসিসিকে ১২৭০টি ছাড়া বাকি টিকিটগুলো ব্যাংকে ছাড়া হবে! বিসিবির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহাবুবুল আনাম এই তথ্য মিডিয়া বিভাগকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। টিকিট নিয়ে এধরণের তথ্য ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন টিকিট এন্ড সিটিং কমিটির চেয়ারম্যান তামিম। তাচ্ছিল্লের সুরে বলেন,“ধুত এসব ভুয়া তথ্য। আমার কাছে তালিকা আছে। আমি জানি কোথায় কত টিকিট দেওয়া হবে। ”

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।