ঢাকা: প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। চারদিন পরে বাজারে আসছে বিশ্বকাপ ম্যাচের টিকিট।
প্রথম টিকিট কিনবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেও বাজারে টিকিট পাওয়া যাবে ১ জানুয়ারি থেকে। দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে বিক্রি হবে টিকিট। ঢাকা মহানগরিতে আটটি এবং চট্টগ্রাম মহানগরির পাঁচটি বুথে টিকিট পাওয়া যাবে। এছাড়া জেলা শহরের একটি করে বুথ থেকে টিকিট কিনতে পারবেন দর্শকরা।
টিকিট কেনার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলুন দর্শকরা। নিয়মগুলো জেনে রাখা ভালো। জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্ট নিয়ে ১ জানুয়ারি সকালে সিটি ব্যাংকের নির্ধারিত বুথের সামনে লাইনে দাঁড়াতে হবে। পছন্দের আসনের মূল্য দিয়ে কিনতে হবে টিকিট। ভুল করে ঝামেলা পাকাতে গেলেই বিপদ। কারণ কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে ব্যাংকের বুথগুলোতে।
১ জানুয়ারি দর্শকদের হাতে আসল টিকিট দেওয়া হবে না। পরিবর্তে একটি রশিদ দেওয়া হবে। সেটি দেখিয়ে খেলার সাতদিন আগে স্টেডিয়াম অথবা ডাকযোগে আসল টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের টিকিট এন্ড সিটিং কমিটির চেয়ারম্যান জিএস হাসান তামিম জানান,“নকল এড়াতে শুরু থেকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। ”
২০১১ সালে বিশ্বকাপের মোট আটটি ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। দুটি কোয়ার্টার ফাইনালসহ ছয়টি ম্যাচ হবে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। বাকি দুটি খেলা হবে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে। পছন্দের ভেন্যুতে খেলা দেখার সুযোগটাও থাকছে দর্শকদের জন্য।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ২৫ হাজার ৫০০ আসন রয়েছে। দর্শকদের জন্য প্রতি ম্যাচে ১৫ হাজার টিকিট বাজারে ছাড়া হবে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আসন থাকবে প্রায় ১৮ হাজার। দর্শকরা পাবেন ১১ হাজার টিকিট।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য মোট ১২ হাজার টিকিট দর্শকদের জন্য বাজারে ছাড়া হবে। বাকি আসনগুলো বরাদ্দ দেওয়া হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি), বিদেশি অতিথি, দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারদের জন্য।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হসপিটালিটি বক্স আছে মোট ৩৭টি। যার মধ্য থেকে ১০টি আইসিসির জন্য নির্ধারিত। বাকি ২৭টি বক্স বিসিবি সরাসরি বিক্রি করবে। গ্রুপ ম্যাচে বক্সের একটি আসনের মূল্য ২১ হাজার টাকা। কোয়ার্টার ফাইনালে একটি আসন পেতে ২৪ হাজার পাঁচ`শ টাকা খরচ করতে হবে অভিজাত দর্শকদের।
দাম বেশি হলেও হসপিটালিটি বক্স নিয়ে অভিজাত দর্শকদের মধ্যে কাড়াকাড়ি পড়ে গেছে। ২৭টি বক্সের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৪০০। আবেদনের সময় আছে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আবেদনের সময় শেষ হলে লটারি করে বক্সগুলো বরাদ্দ করা হবে বলে জানান জিএস হাসান তামিম। বলেন,“গুরুত্ব অনুযায়ী এই বক্সগুলো দেওয়া হবে। ”
সাবেক অধিনায়কদের জন্য একটি বক্স আগে থেকেই বরাদ্দ রেখেছে বিসিবি। প্রেসিডেন্ট বক্সে বসে খেলা দেখার সুযোগ পাবেন ভিভিআইপি দর্শকরা।
প্রস্তুতি ম্যাচের জন্যও টিকিট পাওয়া যাবে ১ জানুয়ারি। বাংলাদেশে মোট চারটি প্রস্তুতি ম্যাচ হবে। ১২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে স্বাগতিক বাংলাদেশ খেলবে কানাডার বিপক্ষে। ১৫ ফেব্রুয়ারি মিরপুর স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক দল। পরের দিন একই ভেন্যুতে কানাডা খেলবে ইংল্যান্ডের সঙ্গে। ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ প্রস্তুতি ম্যাচটি হবে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের মধ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১০