কক্সবাজার: আট দেশের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো আয়োজিত সাফ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ সফল আয়োজনের মধ্যদিয়েই শেষ হলো। গত ১২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টটি দক্ষিণ এশিয়ার মহিলা ফুটবলে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
দেশের পর্যটন শহর কক্সবাজারের ছোট্ট স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন ছিলো। কোনো বিভাগীয় শহরও নয়। ছোট্ট শহরের অধিবাসীরা কিভাবে সাড়া দেয় সেটাও ভাবনার বিষয় ছিলো। কিন্তু স্থানীয় আয়োজকদের পরিশ্রম একেবারে ব্যর্থ হয়নি। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই ছিলো মাঠ ভরা দর্শক। টিকিট কেটে খেলা দেখে উৎসাহ দিয়েছেন মেয়েদের।
অনেক কারণেই টুর্নামেন্টটি স্মরণীয়। এমনিতে বিশ্ব ফুটবল মানচিত্রে সাফের অবস্থান তলানিতে। যেখানে পুরুষ ফুটবল বিশ্বকাপ এখনো স্বপ্ন, মেয়েদের ফুটবলের কথা ভাবাটাও অবান্তর।
দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেই এখনো ঘরোয়া মহিলা ফুটবল নেই। যেখানে অনেক দেশে নারী ফুটবলের প্রচলনই শুরু হলো মাত্র, তারা খেলছে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট!
ভারত বাদে এ অঞ্চলের প্রতিটি দেশই নারী ফুটবলে যাত্রা করেছে বেশিদিন হয়নি। সাফ চ্যাম্পিযনশিপে অংশ নিয়েই প্রথমবারের মতো মেয়েদের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে আফগানিস্তান ও ভুটানের মেয়েরা। যাত্রা কেবল শুরু হলো- এরপর এগিযে যাওয়ার পালা।
নিয়মিত খেলতে পারলে দেশকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তুলে ধরবে তারা। একদিন হয়তো খেলবে মার্তা বা জোহানা ফ্রিস্কদের সঙ্গে। সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন সাস্মিতা মালিক, বালা দেবী, অনু বালা ও যমুনা গুরংরা।
স্বপ্নের বীজ বুনে দিয়ে গেছেন ফিফা মহিলা ফুটবল শাখার সভাপতি ওরাউয়ি মাকুদি। ১২ ডিসেম্বর টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করতে কক্সবাজারে ছুটে আসেন তিনি। সেই সঙ্গে এএফসি ও সাফ ফুটবল কর্তারাও এগিয়ে আসেন টুর্নামেন্টের সফল আয়োজনে। মণিলাল ফার্নান্দো, আলবার্তো কোলাসো, জোহানা ফ্রিস্কদেরও পদার্পণ হয়েছে পর্যটন শহরে।
দেখতে দেখতে বৃহস্পতিবার ১২ দিনের টুর্নামেন্ট শেষ হলো। কক্সবাজার সাক্ষী হলো অনেক কান্না-হাসির। বৃহস্পতিবার প্রতিযোগিতার সমাপনী খেলায় নেপালকে হারিয়ে ভারত জিতে নিলো সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ট্রফি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১০