ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ভারতের

আহসান হাবিব, কক্সবাজার থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১০
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ভারতের

কক্সবাজার: প্রথমবারের মতো আয়োজিত সাফ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ফাইনালে তারা ১-০ গোলে হারায় নেপালকে।

কক্সবাজার জেলা স্টেডিয়ামে শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণে নেপালকে কোণঠাসা করে ফেলে ভারত। তবে গোলরক্ষক চন্দ্রা দাহালের দৃঢ়তায় প্রথমার্ধে কেনো গোল হজম করতে হয়নি নেপালকে। ২১ মিনিটে বালাদেবী বক্সের ভেতর থেকে ক্রস করলে ছোট বক্সের ভেতরে দাড়ানো কমলা দেবী বলে শট নিলেও গোলরক্ষক চন্দ্রা দাহাল ঝাপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে দলকে বিপদ মুক্ত করেন।

পরের মিনিটে আবারো আক্রমণে যায় ভারত। এবার বালা দেবীর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে সে যাত্রায় পাড় পেয়ে যায় নেপালের মেয়েরা। ২৫ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে লিজার বাড়ানো বল নিয়ে নেপালের গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন হ্যাটট্রিক কন্যা সাস্মিতা মালিক।

৪১ মিনিটে নেপালকে আরো একবার রক্ষা করেন গোলরক্ষক চন্দ্রা দাহাল। এবার বালা দেবীর পাসে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বল নিয়ে বক্সের ভেতরে প্রবেশ করে অধিনায়ক তাবাবি দেবী চমৎকার এক শট নেন। কিন্তু ডানদিকে ঝাপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে নিশ্চিত গোলের হাত থেকে দলকে রক্ষা করেন চন্দ্রা।

দ্বিতীয়ার্ধের গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ভারত। ৫০ মিনিটে কমলা দেবীর বাড়ানো পাসে বক্সে দাঁড়িয়ে থাকা সাস্মিতা বল কানেক্ট করতে ব্যর্থ হলে একটি সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করে কোচ শহীদ জব্বারের দল।

দুই মিনিট পরই ভাগ্য বিড়ম্বনার শিকার হন প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ ১৪টি গোলের অধিকারী সাস্মিতা। তার প্রচন্ড গতির শট ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে।

তবে ৬৬ মিনিটে ভাগ্যদেবী মুখ তুলে তাকায়। বক্সের বাইরে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ খেলোয়াড় তাবাবি দেবীকে ফেলে দিলে ফ্রিকিক দেন রেফারি। ডান প্রান্তের প্রায় ২২ গজ দূর থেকে সাস্মিতা কোণাকুটি শটে নেপাল গোলরক্ষকের নাগালের বাইরে দিয়ে বল জালে জড়ালে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ভারত।

ম্যাচ শেষে চন্দ্রার প্রশংসা শুনিয়েছেন ভারতীয় কোচ শহীদ জব্বারও,‘‘কমপক্ষে ১০টি গোল হতে পারতো আমাদের। কিন্তুু নেপাল গোলরক্ষক আমাদের বড় ব্যবধানে জিততে দেননি। আমরা পজিশন ফুটবল ভালো খেলেছি। কিন্তু ফিনিশিং করতে পারিনি। ”

অন্যদিকে দলের খেলায় সন্তোষ প্রকাশ করেন নেপাল কোচ ধ্রুব বাহাদুর,‘‘টুর্নামেন্টের সবচায়ে শক্তিশালী দল ভারত। তাদের কাছে হারাটা অস্বাভাবিক নয়। এসএ গেমসে তাদের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিলাম। তবে মেয়েরা ভালো খেলেছে। বিশেষ করে গোলরক্ষক অসামান্য দৃঢ়তা দেখিয়েছে। ”

নেপাল দলের খেলা এবার সবারই নজর কেড়েছে। এরই স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিযোগিতার ফেয়ার প্লের ট্রফিটা জিতেছে তারা।

প্রতিযোগিতার অফিসিয়াল স্পন্সর আমরা নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে ভারতের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ল্যাপটপ জিতেন স্ট্রাইকার বালা দেবী। অন্যদিকে নেপাল সেরা বিবেচিত হন তাদের স্ট্রাইকার অনু লামা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।