ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

সাকিবে উজ্জ্বল বাংলাদেশ

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১০
সাকিবে উজ্জ্বল বাংলাদেশ

ঢাকা: রসিকতা হচ্ছে অতিথিদের নিয়ে! সিরিজে পিছিয়ে থেকেও এক এক করে টানা দুটো ম্যাচ জিতে নেওয়া। এর চেয়ে বড় রসিকতা কী হতে পারে।

জয় পেতে পেতে জয়বিলাসী হয়ে গেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বাকি দুটোতেও বোধহয় জিম্বাবুয়েকে ভাগ বসাতে দেবে না।

দিবা-রাত্রির ম্যাচের সুচি দিয়ে শেষে হলো দিনের ম্যাচ। জিম্বাবুয়ে আপত্তি করেনি। খেলেছে বিনাবাক্যে। হেরেছে বড় ব্যবধানে, ৬৫ রানে। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-১ এ এগিয়ে বাংলাদেশ। বাকি দুই ম্যাচের ফয়সালা হবে চট্টগ্রামে।

বাংলাদেশ: ২৪৬/৭ (৫০ ওভার)
জিম্বাবুয়ে: ১৮১/১০ (৪৮.১ ওভার)

গুম মেরেছিলো মিরপুরের আকাশ। সূর্য উঁকি দেওয়ার সুযোগ পায়নি। মৃদু বাতাসও ছিলো। সঙ্গে শীতের শিশির। পেস বোলিংয়ের জন্য আদর্শ পরিবেশ। আগে ফিল্ডিং নিয়ে দারুণ শুরু করে জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের প্রথম বলে মারকুটে তামিম ইকবালকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে। উজ্জীবিত হওয়ার জন্য এরচেয়ে ভালো উপহার হতে পারে না। ৩.১ ওভারে গিয়ে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয়। ৭১ রানে চার উইকেট গেলে কিঞ্চিত চাপ তৈরি হয় বাংলাদেশের ওপর।

আগের ম্যাচে অর্ধশতক হাঁকানো দুই ব্যাটসম্যান জুনায়েদ সিদ্দিক এবং রকিবুল হাসান অসহায় আত্মসমর্পণ করেন। বিশেষ করে রকিবুল ১২ রান তুলতে অপচয় করেছেন ২৫ বল। ১ রানের জন্য জুনায়েদ খেলেন ৭ বল। শুরুর দিকে বল বেশি খরচ হওয়ায় চতুর্থ জুটিতে ইমরুল কায়েস এবং সাকিব আল হাসান মেরে খেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৩ রানে প্রসপার উৎসেয়ার ফাঁদে পা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ইমরুল।

আকাশে উড়তে থাকা জিম্বাবুয়ে বোলারদের মাটিতে নামিয়ে আনেন সাকিব এবং মুশফিকুর রহিম। পঞ্চম জুটি থেকে আসে ১১৬ রান। পাঁচটি চার ও একটি ছয়ের মার দিয়ে ৭৩ বলে ৬৩ করে উৎসেয়ার শিকার হন। সাকিবের উইকেটটিও নিয়েছেন উৎসেয়া। পাঁচটি চারের মার মিলিয়ে ৯১ বলে ৭৩ রান নিয়ে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন নাঈম আসলাম।

লো স্কোরিং উইকেটেও স্বাগতিকদের ব্যাটিং মন্দ হয়নি। ৭ উইকেটে ২৪৬ রান অনেক বড় পুঁজি। অন্তত স্পিন ভীতু জিম্বাবুয়ের জন্য ২৪৭ রান মোকাবেলা করে জয় ছিনিয়ে নেওয়া মোটেও সহজ ছিলো না। রোদ উঁকি না দেওয়ায় বোলিংয়ে সুবিধা পেতে থাকে বাংলাদেশ। আগের দুই ম্যাচে নি®প্রাণ থাকা পেস বোলার মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং শফিউল ইসলাম দুর্বার হয়ে উঠেন।

চোট থেকে ফিরে এই প্রথম দারুণ কয়েকটি স্পেল দেখান নড়াইল এক্সপ্রেস। ১০ ওভারে ২০ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন। স্লোয়ার বলে টাটেন্ডা টাইবুর উইকেট সরাসরি উড়িয়ে দেন।

আব্দুর রাজ্জাক স্পিন জাদুতে টানা তিন ম্যাচে উইকেট উৎসব করেন। তিন ম্যাচে ১৩ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। সোমবার সবচেয়ে কম ১০ ওভারে ১৪ রান দিয়ে চার উইকেট শিকারে করেন।

পেসার শফিউল ইসলাম একটু বেশি রান (৯.১ ওভার ৪৩ রান) খরচ করলেও চারজন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছেন। অধিনায়ক সাকিবের ব্যাট হাসলেও বোলিংয়ে বাজিমাত করা হয়নি। ৯ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে ১টি মাত্র উইকেট তুলেছেন। ৪৮তম ওভারে ২০ রান দিলে পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে সুবিধা হয় জিম্বাবুয়ের। শফিউলের বলে ক্যাচ তোলার আগে প্রসপার উৎসেয়ার ব্যাট থেকে এসেছে ৬৭ রান। অলরাউন্ড নৈপূণ্য দেখান উৎসেয়া। বল হাতে চার উইকেট এবং ব্যাটিংয়ে ৬৭ রান। দিন শেষে এই পাওয়া ছিলো জিম্বাবুয়ের।

ম্যাচ সেরার পুরস্কার গেছে রাজ্জাকের দখলে। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে এনিয়ে অর্ধশত একদিনের ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘন্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।