ঢাকা: বাংলাদেশ শেষবার দিবা-রাত্রির ম্যাচ খেলেছে ২০০৯ সালের ৩১ অক্টোবর। এক বছরেরও বেশি সময় পর সেই একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ফ্ল্যাড লাইটের আলোর নীচে খেলতে নামছে।
মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান রকিবুল হাসান যেমন জানালেন ভয়ের কিছু নেই। জয়ের কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না। বরং দিবা-রাত্রির ম্যাচেও ধারাবাহিকতা দেখাতে অসুবিধা হবে না বলেই মনে করেন,“এই মাঠে ফ্যাড লাইটের আলোতে অনেক ম্যাচ খেলেছি আমরা। কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আশা করি ম্যাচ জিতবো। ”
বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের এই ক্রিকেট সিরিজ বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে দিবা-রাত্রির ম্যাচটিও মহামূল্যবান। কারণ ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে বৈদ্যুতিক আলোতে খেলতে হবে। অতএব সামান্য প্রতিকূলতা থাকলেও জয়ের ধারা থেকে স্লিপ করতে চাইবে না বাংলাদেশ।
পিছিয়ে থেকে সিরিজে ফিরেছে বাংলাদেশ। যেখানে রকিবুলের অবদান অনেকটা। খেলার সুযোগ পেয়ে ৭৮ বলে ৬৫ রানের দর্শনীয় ইনিংস খেলেন। বাকি ম্যাচগুলোতেও নির্ভার থাকতে চান,“গত ম্যাচে রান পাওয়ায় আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। চেষ্টা করবো পরের ম্যাচগুলোতেও বড় স্কোর করতে। ”
রকিবুলের স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। রানের চেয়ে বলের খরচটা খুব বেশি হয় বলে বাঁকা কথাও শুনতে হয়েছে। মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান আগের চেয়ে অনেক পরিণত। দলের প্রয়োজন অনুযায়ী খেলতে শিখেছেন। বলেন,“শেখার শেষ নেই। উন্নতির অনেক জায়গা আছে। আমি স্ট্রাইকরেট বাড়ানোর চেষ্টা করছি। আশা করি আরো ভালো হবে। ”
প্রথম ম্যাচ হারায় একাদশ থেকে ছেটে ফেলা হয় মোহাম্মদ আশরাফুল এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। সেখানে সুযোগ দেওয়া হয় রকিবুল এবং নাঈম ইসলামকে। দু’জনই ভালো করেছেন। তৃতীয় ম্যাচের একাদশ নিয়ে তাই ভাবতে হচ্ছে না নির্বাচকদের। সম্ভবত অপরিবর্তিত দল নিয়েই সোমবার মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘন্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১০