ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

সাকিবের শততম ম্যাচেও জয়

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১০
সাকিবের শততম ম্যাচেও জয়

ঢাকা: ২০০৬ সালের ৬ অক্টোবর সাফল্যের বরদেবী বিজয় মালা নিয়ে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে অপেক্ষায় ছিলেন। রাজকীয় অভিষেক হয়েছিলো সাকিব আল হাসানের।

সেই থেকে পথ চলা। হাঁটি হাঁটি পা করে শততম ম্যাচের কোটা পেরিয়েছেন। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেও এসেছিলেন বরদেবী। পরদেশ থেকে দেশের মাটিতে সাফল্যের মঞ্চে আরহণ করেন সাকিব।

বাংলাদেশের ক্রিকেটের বিশ্ব দূত হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। ২৪ বছরের তরুণ এখন দলনেতা। বিজয় মঞ্চ প্রস্তুত থাকে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ অলরাউন্ডারের জন্য। অথচ ব্যক্তিগত সাফল্য নিয়ে খুব একটা উচ্ছ্বাস নেই,“ হেরে গেলে ব্যক্তিগত অর্জনের কোন মূল্য থাকে না। আগের দিন ৬৩ রান করেছি। অথচ একটুও ভালো লাগেনি। আজ ম্যাচ জেতায় ভালো লাগছে। আমার কাছে সবার আগে দলের সাফল্য। ”

সাকিব অলরাউন্ড নৈপূর্ণ্য দেখালে জয় হয় বাংলাদেশের। বাঁহাতি এই স্পিনার এক মৌসুমে ২৫ ম্যাচ খেলে ৪২ উইকেট শিকার করেছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বর্তমান মৌসুমে সবচেয়ে বেশি। বছর শেষ করার আগে আরো তিনটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন অধিনায়ক। সেক্ষত্রে এক মৌসুমে সতীর্থ সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকেও উইকেট শিকারের দিক থেকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন সাকিব। ২০০৬ ক্রিকেট বর্ষপঞ্জিতে, ২৮ ম্যাচ খেলে ৪৯ উইকেট ঝুলিতে পুড়েছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস।

অধিনায়ক সাকিব ৩১টি একদিনের ম্যাচে দায়িত্ব পালন করে জিতেছেন ১৫ টিতে। যার মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং নিউজিল্যান্ডকে ধবলধোলাইয়ের অভিজ্ঞতা হয়েছে।

শততম ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছেন অধিনায়ক। নয় ওভারে ৩৯ রান দিয়ে শিকার করেছেন চারটি উইকেট। ব্যাট হাতে অপরাজিত ছিলেন নয় রানে। দিনটিকে অন্যভাবে উদযাপন করতে পারতেন সাকিব। কিন্তু আবেগ তাকে ছুতে পারেনি,“শততম ম্যাচকে আলাদা মনে হয়নি। জয়টাই আসল। ”

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘন্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।