ঢাকা: জয় আসবে জানাই ছিলো। আত্মবিশ্বাস ছিলো ক্রিকেটারদের।
অঘটন দিয়ে শুরু হয়েছিলো সিরিজ। একদিনের ব্যবধানে ভোজবাজির মতো বদলে যায় সবকিছু। ক্রিকেটারদের শারীরিক ভাষা ছিলো চোখে পড়ার মতো। একবারের জন্যও মনে হয়নি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে বাংলাদেশ। বলতে গেলে একপেশে খেলা হয়েছে।
মাশরাফি বিন মুর্তজা সুবিধা করতে না পারলেও শফিউল ইসলাম প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন। ১.৫ ওভারে চিভাভাকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়ের কোমড় ভেঙ্গে দেয় স্বাগতিক শিবির। এরপর দায়িত্ব নেন স্পিনাররা।
সাকিব এবং আব্দুর রাজ্জাক একে একে উইকেট শিকার করেন। ৪৬.২ ওভারে ১৯১ রানে অল-আউট হয় সফরকারী জিম্বাবুয়ে। ক্রেগ আরভিন সর্বোচ্চ ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া কেইথ দেবেঙ্গুয়া ৩০, প্রসপার উৎসেয়া ৩২, ব্রেন্ডন টেলর ২৮, চাকাভা ও টাটেন্ডা টাইবু ২১ রান করে নিয়ে সাজঘরে ফেরেন।
জিম্বুবুয়ে ১৯১ রানের বেশি করতে না পারার কারণ বড় জুটি হয়নি। কৃতিত্বটা স্বাগতিক বোলারদের দিতে হয়। বিশেষ করে চার স্পিনারকে। রাজ্জাক এবং সাকিব উইকেট পেয়েছেন। নাঈম ইসলাম এবং সোহরাওয়ার্দী শুভ রান চেক দিয়েছেন।
ব্যাটিংয়ে সাবলীল ছিলেন উদ্বোধনী জুটি। তামিম ইকবাল ধুমধারাক্কা চার ছয় হাঁকিয়ে ৪৮ বলে ৪৪ রান তোলেন। পাঁচটি চার ও দুটি ছয়ের মার ছিলো তার ইনিংসে। ইমরুল কায়েস সুবিধা করতে না পারলেও জুনায়েদ সিদ্দিক ৫৩ এবং রকিবুল হাসান ৬৫ রানের দুটি ইনিংস খেলে দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেন। দলীয় ১৮৭ রানে আউট হন রকিবুল। বাকি কাজটুকু সারেন সাকিব এবং মুশফিকুর রহিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘন্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১০