ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

মালয়েশিয়াকে হারিয়ে ক্রিকেট সেমিতে বাংলাদেশ

সেকান্দার আলী, গুয়াংজু থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১০
মালয়েশিয়াকে হারিয়ে ক্রিকেট সেমিতে বাংলাদেশ

গুয়াংজু: কোয়ার্টার ফাইনালে মালয়েশিয়াকে হারানো ছিলো সময়ের ব্যাপার। ব্যত্যয় ঘটেনি।

মালয়দের ৭০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে নিয়েছে বাংলাদেশ।

অবশ্য অপরিচিত উইকেটে মানিয়ে নিতে খানিকটা বেগ পেতে হয়েছে। বিশেষ করে সুইপ শট খেলতে গিয়ে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা আউট হয়েছেন। তবে শুরুটা ভালো ছিলো। উদ্বোধনী জুটি আলাদা হয়েছে ৪৭ রানে। নাজিমউদ্দিন ২০ রানে সাজঘরে ফেরেন।

মিথুন আলী স্বরূপেই ছিলেন। অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল তাকে সঙ্গ দেওয়ায় রানের গতি ধরে রাখা সম্ভব হয়। চারটি চার ও একটি ছয়ের মার মিলিয়ে ৩৫ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মিথুন আলী। আশরাফুলও উইকেট আগলে রেখেছেন। সাজঘরে ফেরার আগে তুলেছেন ২৯ রান। এছাড়া অলরাউন্ডার সাব্বির রহমান ২৪ রান করায় নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৫০ করে বাংলাদেশ।

মালয়েশিয়ার ফিল্ডিংয়ে ভালো হলে অনেক আগেই অল-আউট হয়ে যেতো বাংলাদেশ। একে একে ছয়বার ক্যাচ ফেলে আশরাফুলদের সুবিধা করে দেয় মালয়েশিয়া। আউট ফিল্ড স্লো হওয়ায় সীমানার বাইরে বল পাঠানো কঠিন ছিলো। বাধ্য হয়ে সিঙ্গেল রানের ওপর জোর দেয় বাংলাদেশ। শেষপর্যন্ত সফলও হয়।
 
টোয়েন্টি-টেয়েন্টি ক্রিকেটে মালয়েশিয়ার সামনে ১৫০ রান অনেক বড় স্কোর। তারওপর বাংলাদেশ বোলিং ভালো করায় মালয় বাহিনী অল-আউট হয় ৮০ রানে। যদিও পেস বোলিংয়ে তেমন সুবিধা হয়নি। সাহাদাত হোসেন ব্রেক এনে দিলেও দুই ওভার বোলিং করে এক উইকেটের বেশি নিতে পারেননি। উইকেট শূন্য থাকেন নাজমুল হোসেন।

গুয়াংগং স্টেডিয়ামের স্পিন উইকেট হওয়ায় বাড়তি সুবিধা ছিলো বাংলাদেশের জন্য। সোহরাওয়ার্দী শুভ এবং আশরাফুল মালয়েশিয়ার ইনিংসে ধ্বস নামান ছয় উইকেট শিকার করে।

অধিনায়ক আশরাফুল বলছিলেন,“আমার বিশ্বাস ছিলো মালয়েশিয়াকে হারাতে সমস্যা হবে না। যদিও মিডল-অর্ডারে ব্যাটিং ভালো হয়নি। তবে উইকেট সম্পর্কে একটু ধারণা থাকলে এমন হতো না। পেস বোলিংয়ে অনুশীলন করা সম্ভব হয়নি। সব মিলিয়ে ম্যাচটা খারাপ হয়নি। ”

উইকেট উন্মোচন করা হয়েছে। সেমিফাইনালে খেলায় তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বাংলাদেশ অধিনায়কেরও বিশ্বাস সেমিফাইনালে ভালো করবে তার দল। যদিও প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করা অনেকটাই কঠিন। আশারাফুল এক্ষেত্রে দ্বিমত প্রকাশ করেন,“টি-টোয়েন্টিতে নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না। নিজেদের দিনে যেকোন প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে নিশ্চয়ই বিশেষ পরিকল্পনা থাকবে আমাদের। কারণ তাদের বেশিরভাগ খেলোয়াড়কেই আমরা চিনি। ”

আশারাফুলের মতো খুশি হতে পারেনি কোচ সারোয়ার ইমরান। বলেন,“আমি খেলা দেখে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। ভাবতেও পারিনি এভাবে মিডলঅর্ডারে ধ্বস নামবে। ”

সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর ব্যাপারে কোচ সারোয়ার ইমরান যথেষ্ট আশাবাদী। তার মতে,“একটু ভালো খেললে সেমিফাইনালে জয় পাওয়া সম্ভব। যদিও শ্রীলঙ্কা অনেক ভালো দল। ”

গুয়াংজু সময়: ১৮১৫, নভেম্বর ২৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।