গুয়াংজু: এশিয়ান রেকর্ড ধারী কাতারের ফ্রান্সিস স্যামুয়েল সেমিফাইনালে বাঁশিবাজার আগেই দৌঁড় শুরু করায় অযোগ্য বলে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়েন। গতবারের চ্যাম্পিয়ন সৌদি আরবের হাসান ইয়াহিয়া হাবিব ফাইনালে থেকেও পদক ধরে রাখতে পারেননি।
নাইজেরিয়া বংশোদ্ভূত স্যামুয়েল কাতারের নাগরিকত্ব নিয়ে ২০০৭ সালে এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০০ মিটার জিতেছিলেন। রেকর্ড ৯.৯৯ সেকেন্ডে দৌঁড় শেষ করে রীতিমতো ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডের বীর খেতাব পেয়ে যান। গুয়াংজু এশিয়ান গেমসেও এসেছিলেন সোনার পদক জয়ের স্বপ্ন নিয়ে। রেকর্ড ভাঙ্গার প্রস্তুতিও ছিলো। কিন্তু বিধিবাম কাতারের মানুষকে হতাশ করেন স্যামুয়েল।
লাওয়ের জন্য দারুণ সুযোগ আসে। দৌঁড় শুরু হলে বাজিমাত করেন। ১০.২৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে জিতে নেন গেমসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট ১০০ মিটারের স্বর্ণ। করতালিতে ফেটে পড়ে অটি মেইন স্টেডিয়ামের গ্যালারি। হাজার হাজার মানুষ দেশের সূর্য সন্তানের কৃতিত্ব দেখতে এসেছিলেন। বিজয়ী চীনা বীর সংবাদ সম্মেলনে বলেন,“অনুশীলনে অনেক ভালো টাইমিং করেছি আমি। বিশ্বাস ছিলো কিছু একটা করতে পারবো। শুরুটা ভালো হওয়ায় আগের চেয়ে কম সময়ে ১০০ মিটার শেষ করতে পেরেছি। দেশের জন্য কিছু করতে পারায় ভালো লাগছে। ”
১০০ এবং ১০০ মিটার রিলে ইভেন্টর প্রতিযোগী লাও অতি আবেগে ভেসে যাননি। উচ্ছ্বাসটা চেপে রেখেছেন। চীনারা বোধহয় এমনই হয়। একবারের জন্যও অন্যদের জানতে দেয়নি একজন দ্রুততম মান প্রস্তুত হয়ে আছেন।
এই ইভেন্টে দ্বিতীয় হয়েছেন সৌদি আরবের ইয়াসির বালগায়থ। লাওয়ের চেয়ে দশমিক শূন্য দুই সেকেন্ড বেশি সময় নিয়েছেন তিনি। দোহা গেমসের দ্রুততম মানব ইয়াসিরের সতীর্থ হাসান ইয়াহিয়া হাবিব শীর্ষ তিনজনে পর্যন্ত জায়গা করে নিতে পারেনি। ১০.৩৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে পঞ্চম হয়েছেন সদ্য সাবেক হওয়া হাবিব। সৌদি অ্যাথলেট দোহায় ১০.৩২ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রথম স্থান পেয়েছিলেন।
পুরুষদের ১০০ মিটারে ব্রোঞ্জ পদকটি জিতেছেন ওমানের আল হারথি বারাকাত। তার সময় লেগেছে ১০.২৮ সেকেন্ড।
মেয়েদের ১০০ মিটারে সেরা হয়েছেন জাপানের ফুকুশিমা চিসাতো। ১১.৩৩ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন গুজেল খুবিয়েভা। ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছেন ভিয়েতনামের থি হং।
গুয়াংজু সময়: ২০৫১ ঘন্টা, নভেম্বর ২২, ২০১০