গুয়াংজু: এশিয়ান গেমসে অংশ নেওয়া খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের দেশের পতাকা খচিত ট্র্যাকস্যুট, জার্সি প্যান্ট এবং ব্লেজার দেওয়া হয়েছে। সীমিত সামর্থের মধ্যে সুযোগ-সুবিধাও কম দেয়নি।
মহিলা কাবাডি দলের কোচ আব্দুল হাকিম মিয়া খেলার দিনেও নিজের পছন্দের পোশাক পড়ে মাঠে গিয়েছেন। কোন ভাবেই বোঝার উপায় ছিলো না তিনি বাংলাদেশ দলের একজন কোচ। খেলা শেষে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,“গেমসের পোশাক পড়তে মনে ছিলো না। সামনে যেটা পেয়েছি সেটাই পড়ে এসেছি। ”
শুধু কাবাডির কোচ একা নন। ক্রিকেটারদেরকেও গেমসের পোশাকে খুব একটা দেখা যায় না। অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল জিন্স প্যান্ট এবং গেঞ্জি পড়ে খেলা দেখতে যান। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের মধ্যেও এশিয়ান গেমসের পোশাক পড়া নিয়ে অনিহা আছে।
অথচ এশিয়ান গেমসে অন্যান্য দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে এমনটা চোখে পড়েনি। ভারতের ক্রীড়াবিদরা গেমস ভিলেজ থেকে বের হলেই জাতীয় পতাকা খচিত গেমসের পোশাক পড়েন। ভারতীয় মহিলা কাবাডি দলের কোচ সুনিল দাবাস বলেন,“এই পোশক আমাদের জন্য গর্বের। জাতীয় পতাকা বহন করছে এশিয়ান গেমসের পোশাক। এছাড়া দেশের পরিচয় তুলে ধরতে পারি গেমসের পোশাকের মাধ্যমে। বাইরে বের হলে এই পোশাকই পড়া উচিৎ। ”
গুয়াংজু সময়: ১৭৫২ ঘন্টা, নভেম্বর ২২, ২০১০