গুয়াংজু: দেশে অ্যাথলেট সংকটের বিজ্ঞাপন দিতে পারে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন! অন্তত একজন দ্রুততম মানবী খোঁজার জন্য। দ্রুততম মানবেরও অভাব আছে।
এশিয়ান গেমসে দুজন অ্যাথলেট পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। ছেলেটির নাম আজহারুল ইসলাম। তার আসল ইভেন্ট ৪০০ মিটার। এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়েছেন ১০০ মিটারে। মজার ব্যাপার হলো বাছাই রাউন্ডে ১১.১৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেমিফাইনাল হিটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
আপাত দৃষ্টিতে আজহারুল অনেক কিছু করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের একজন দ্রুততম মানব ১০০ মিটার শেষ করতে সময় নিয়েছেন ১১ সেকেন্ডের বেশি। এশিয়ান গেমসে মেয়েদের ১০০ মিটারের রেকর্ডও এরচেয়ে কম (১০.৭৯)।
মজার ব্যাপার হলো এশিয়ান গেমসের রেকর্ড বইয়ে দেখানো হয়েছে আজহারের সেরা টাইমিং ১০.০৯ সেকেন্ড। বিষয়টি জানতে চাইলে বাংলাদেশের দ্রুততম মানব জানালেন,“ওটা ভুল টাইমিং। ফেডারেশন থেকে দিয়েছে। ”
সেমিফাইনালের জন্য নির্বাচিত হলেও আজহার নিজের পারফরমেন্সে খুশি হতে পারেননি। বলছিলেন,“আমার ইভেন্ট ১০০ মিটার নয়। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে দৌঁড় দিয়ে প্রথম হয়ে গেছি। আসলে আমার ইভেন্ট ৪০০ মিটার। ”
সোমবার ফাইনাল রাউন্ডের জন্য সেমিফাইনালে আরেকবার দৌঁড়াতে হবে আজহারকে।
মেয়েটির নাম নাজমুন নাহার বিউটি। হিটে ১২.৭২ সেকেন্ড সময় নিয়ে ১০০ মিটার শেষ করেছেন। দৌঁড় শেষে পেছন ফিরে দেখলেন গ্রুপে অন্তত একজনের আগে আছেন। খুশিই হলেন বিউটি। কিন্তু ইলেকট্রনিক স্কোর বোর্ড জানিয়ে দিলো বাংলাদেশের সাবেক দ্রুততম মানবী পরের ধাপে যাচ্ছে না।
বিউটিও ১০০ মিটারের জন্য এশিয়ান গেমসে আসেননি। তার ইভেন্ট মূলত ২০০ মিটার। আগ্রহ থেকেই ১০০ মিটারে অংশ নিয়েছেন। বলেন,“আমি ২০০ মিটারে প্র্যাকটিস করেছি। ফেডারেশন থেকেও আমাকে বলা হয়নি ১০০ মিটার দৌঁড়ানোর জন্য। আমি নিজে চেষ্টা করে নাম ঢুকিয়েছি। ”
ফেডারেশন বলেনি। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন থেকেও বিউটিকে বলা হয়নি ১০০ মিটারে অংশ নিতে। অথচ দেশের মান ডোবাতে নিজের ইচ্ছে মতো ইভেন্ট বেছে নিয়েছেন তিনি।
গেমস ভিলেজে ফেরার আগে বিউটি সাংবাদিকদের জানালেন,“কিছু করতে পারিনি, কিন্তু অভিজ্ঞতা তো হলো। এছাড়া চুমকির চেয়ে কম সময় নেওয়ায় ভালো লাগছে। ”
দিল্লি কমনওয়েলথ গেমসে ১৩ সেকেন্ডের বেশি সময় নিয়ে ১০০ মিটার শেষ করেছেন শামসুর নাহার চুমকি।
গুয়াংজু সময়: ২১২৩ ঘন্টা, নভেম্বর ২১, ২০১০