ঢাকা: খেলা শেষে সাজঘরে স্বেচ্ছায় বন্দী হয়ে থাকলেন ক্রিকেটাররা। হোটেলে ফেরার জন্য পৌনে পাঁচটায় বেরিয়ে এলেন বিষন্ন মুখে।
জাতীয় দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারের মনের কথা বলে দিলেন শাহাদাত। কেউ কেউ দুই শব্দের এই বাক্যটিও বলতে পারেননি। পারবেন কি করে, তারা স্বপ্ন দেখেছেন টেস্ট ম্যাচ জিততে যাচ্ছেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৭৩ গুটিয়ে দেওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাজঘরে উৎসবের একটা বাতাবরণ। প্রত্যেকে জয়ের কথাই ভেবেছেন। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন গুড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতে নেয় ঢাকা টেস্ট। সাজঘরের পরিবেশ সম্পর্কে একটা বর্ণনা পাওয়া গেলো সোহাগ গাজীর কাছ থেকে,‘আমরা সবাই কষ্ট পেয়েছি। ম্যাচটা খুব ক্লোজ ছিলো। কিন্তু জিততে পারিনি। ইনশাল্লাহ পরের ম্যাচে ভালো করার চেষ্টা করবো। ’
২৪৫ রানের টার্গেট ছিলো বাংলাদেশের। ওই রান চেজ করার মতো যথেষ্ট সময়ও ছিলো। কিন্তু সুযোগটা নিতে পারেনি। শাহরিয়ার নাফীসের মুখে শোনা যাক তাদের এই অভিজ্ঞতা,‘আমাদের পরিকল্পনা ছিলো চা বিরতি পর্যন্ত স্বাভাবিক খেলা খেলে শেষ সেশনে গিয়ে জয়ের জন্য খেলবো। কিন্তু প্রথম থেকে উইকেট পড়ে যাওয়ায় কোন পরিকল্পনাই আর কাজে লাগেনি। ড্র’র জন্য খেলবো ওই সুযোগটাও ছিলো না। ’
পুরো দল যে কতটা হতাশ মুশফিকের কণ্ঠে তা প্রকাশ পেয়েছে,‘যে বোলিং অ্যাটাকের বিপক্ষে আমরা ৫৫৬ রান করলাম, সেই অ্যাটাকের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং হতাশারই। জিততে না পারি ড্র তো করতে পারতাম। সেজন্যই বলছিলাম আমাদের সমন্বয়টা ভালো হওয়া দরকার। ’
মোবাইলফোনে রুবেল হোসেনও আপসোস করলেন,‘কি করা, চেষ্টা তো করেছি। আমরা আসলে উইকেট ধরে রাখতে পারিনি। মিডলঅর্ডারেও যদি একটা বড় জুটি হয় তালেও কিছু একটা হতে পারতো। ’
তামিম ইকবালের মতে,‘আমরা ধরেই নিয়েছিলাম ম্যাচটা জিতবো। কেউ একবারের জন্যও ভাবিনি এররকম হতে পারে। টেস্টের পাঁচদিনে শেষ দুটি সেশন বাদ দিলে আমরা এগিয়ে ছিলাম। এত কষ্টের পর যখন কেক হাতে নিয়ে খাব তখন আর পারলাম না। অন্যরা খেয়ে নিলো আমাদের কেক। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১২
এসএ