ঢাকা: একটি অনিন্দ্য টেস্ট ইনিংস, শতক এবং অর্ধশতকের মেলবন্ধনে গড়ে উঠা ৫৫৬ রান। এতো উচুঁতে বাংলাদেশ আগে কখনো উঠেনি।
একটু অপ্রত্যাশিত হলেও একে ফ্লুক বলার কোন সুযোগ নেই। ভালো খেলেই বিশাল সংগ্রহ দাঁড়া করিয়েছে। কিছু পরিবর্তনও লক্ষ্যণীয়, ব্যক্তিগত বড় রান করার সামর্থ্য গড়ে উঠেছে ক্রিকেটারদের মধ্যে। তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, নাঈম ইসলাম, মাহমুদউল্লাহ এবং নাসির হোসেন তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারতের বিপক্ষেও ৪০০ রান করেছিলা বাংলাদেশ। সেখান থেকে উন্নীত হয়ে ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪৮৮ রান করে। সাত বছর পর শুক্রবার সেটাকে নতুন উচ্চতা দিয়েছেন এই দলের ক্রিকেটাররা। ১২ বছরে হয়তো অনেক উন্নতি হয়নি। কিন্তু একটি বড় ইনিংস খেলার সামার্থ্য গড়ে উঠেছে। এটাও কম কি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলা এই ইনিংসের তিনটি অংশ। প্রথম অংশ: ৩৬ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান। দ্বিতীয় অংশ: ৯০ ওভার খেলে তিন উইকেটে ২৯১ রান। তৃতীয় অংশ: চার উইকেটে ১০১ রানের। পাঁচ সেশনে ১৪৮.৩ ওভার ব্যাট করেছে। যদিও এর চেয়ে বেশি ওভারের ইনিংস খেলেছে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে ১৫৩.৩ ওভার মোকাবেলা করে ৪০০ রান করেছে। তারপরেও এই ইনিংসের মাহাত্ম অনেক বেশি।
নাঈম ইসলাম মেডেন টেস্ট শতক। তিনি দারুণ ধৈর্য্য দেখিয়েছেন উইকেটে। পাঁচ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট খেলে ১০৮ রান করেছেন। নাসির হোসেনও টেস্টে তার সেরা ইনিংস খেলেছেন। পর পর দুই ইনিংসে অর্ধশতক পেলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের বিপক্ষে এই মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ৭৯ রানের ইনিংস ছিলো আগেরটি। ১১ মাস পরে খেললেন আরেকটি অর্ধশতক রানের ইনিংস। তামিম ইকবাল ৭২, সাকিব আল হাসান ৮৯, মাহমুদউল্লাহ ৬২ রানের ইনিংসও উজ্জ্বল্য ছড়িয়েছে।
অভিষিক্ত অফ স্পিনার সোহাগ গাজীও দারুণ বোলিং করেছেন। ৪৭ ওভারে ১৪৫ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। অভিষেকে সবচেয়ে বেশি ওভার বল করার রেকর্ড এখনও মোহাম্মদ রফিকের দখলে। তবে দ্বিতীয় স্থানটি সোহাগ গাজীর। এক ইনিংসে পাঁচটি অর্ধশতক বা তারচেয়ে বেশি রানও বাংলাদেশের প্রথম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১২
এসএ