ঢাকা: টেস্টর তৃতীয় দিনের মতো চতুর্থ দিনটিও বাংলাদেশের। আগের দিন ৯০ ওভার খেলে ২৯১ রান করেছে তিন উইকেটে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ৫২৭/৪ডি (১৪৪ ওভার), দ্বিতীয় ইনিংস: ২৪৪/৬ (৬৪.৫ ওভার)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৫৫৬ (১৪৮.৩ ওভার)
ক্রিস গেইলকে দ্বিতীয় ইনিংসেও বড় রান করতে দেয়নি বাংলাদেশ। রুবেল হোসেনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ১৯ রানে। ২০ রানে প্রথম উইকেট হারালেও দ্রুত রান তুলে অনেকটা পথ এগিয়ে যায় ক্যারিবীয় শিবির।
কাইরান পাওয়েল দ্বিতীয় ইনিংসেও শতক করেছেন। ১১০ রানে তিনি সাকিবের শিকার। দিনেশ রামদিনকেও সাকিব ফিরিয়েছেন। ড্যারেন ব্রাবোকে ৭৬ রানে আউট করেন রুবেল। সোহাগ গাজী মার্লন স্যামুলেসকে সাজঘরে পাঠান এক রানে। তার দ্বিতীয় শিকার পেরমল। শেষ সেশনে পাঁচ উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চন্দরপল অসুস্থ থাকায় শুক্রবার ব্যাটিংয়ে আসেননি।
দিনের শুরুতে মাহমুদউল্লাহ সুনীল নারিনকে সুপ্রভাত জানান বাউন্ডারি দিয়ে। আবার সুনীলের বলেই ক্যাচ দেন ৬২ রানে। টেস্টে এটি তার পঞ্চম অর্ধশতক। সপ্তম উইকেটে রান এসেছে ১২১।
নবম উইকেটে যোগ হয় আরও ৬১ রান। সাহাদাত হোসেনকে নিয়ে দারুণ ব্যাটিং করেন নাসির হোসেন। মেডেন টেস্ট শতক হতে পারতো। তারই ভুলে কাঙ্খিত রানে যেতে পারেনি। ৯৬ রানে টিনো বেস্টের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন। পাঁচ টেস্টে এটি তার সর্বোচ্চ ইনিংস। আগের সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিলো পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭৯ রানের। শেষ জুটিতে যোগ হয় দুই রান। ১৩ রানে আউট সাহাদাত।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করে ৫৫৬, লিড ২৯ রানের। টেস্ট ক্রিকেটে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংস। আগেরটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৫ সালে ৪৮৮ রানের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেরা ইনিংস ছিলো ৪১৬ রানের।
ওভারের হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই ইনিংসটি বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহৎ। অভিষেক টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ১৫৩.৩ ওভার খেলে ৪০০ রান করেছিলো। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪৮৮ রানের ইনিংসটিও খেলেছে ১৪৯.৩ ওভারে।
টেস্টের দ্বিতীয় দিন ৩৬ ওভার ব্যাট করে ১৬৪ রানে তিন উইকেট, তৃতীয় দিন ৯০ ওভার খেলে ২৯১ রানে তিন উইকেট হারালেও চতুর্থ দিন একঘণ্টা ৩৪ মিনিটে হারিয়েছে বাকি চার উইকেট। আগের দিন উইকেটের জন্য মাথা ঠুকতে থাকা সুনিল নারিন এদিন তিন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের পাঠিয়েছেন।
বাংলাদেশ সংক্ষিপ্ত স্কোর: ৫৫৬ অলআউট-তামিম ইকবাল ৭২, জুনায়েদ সিদ্দিক ৭, শাহরিয়ার নাফীস ৩১, নাঈম ইসলাম ১০৮, সাকিব আল হাসান ৮৯, মুশফিকুর রহিম ৪৩, নাসির হোসেন ৯৬, মাহমুদউল্লাহ ৬২, সোহাগ গাজী ৪, শাহাদাত হোসেন ১৩ ও রুবেল হোসেন ০। রবি রামপল ৩-১১৮, টিনো বেস্ট ১-৭৭, ড্যারেন স্যামি ২-৮৩, সুনিল নারিন ৩-১৪৮, বিরাসামি পেরমল ১-৭৫, ক্রিস গেইল ০-১৪, মার্লন স্যামুয়েলস ০-২১।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংক্ষিপ্ত স্কোর: ৫২৭/৪ডি-ক্রিস গেইল ২৪, কাইরান পাওয়েল ১১৭, ড্যারেন ব্রাবো ১৪, মার্লন স্যামুয়েলস ১৬, শিবনারায়ন চন্দরপল ২০৩*, দিনেশ রামদিন ১২৬*। সোহাগ গাজী ৩-১৪৫, সাহাদাত হোসেন ১-৮৫, রুবেল হোসেন ০-৮৯, মাহমুদউল্লাহ ০-৪৫, সাকিব আল হাসান ০-১০৪, নাঈম ইসলাম ০-২৪, নাসির হোসেন ০-৮ ও তামিম ইকবাল ০-১০।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১২
এসএ