ঢাকা: মন খারাপ হতেই পারে সিদ্দিকুর রহমানের। আগের দিনের দুর্দান্ত পারফরমেন্সের পর শীর্ষ দশে থাকারই কথা ছিলো তার।
এজন্য আর্থিক দণ্ডও কম হয়নি! হারিয়েছেন আরো ১ লাখ ছয় হাজারের বেশি ডলার জেতার সুযোগ। যেটুকু জিতেছেন সেটাও কম নয়। এক লাখ ২১ হাজার ডলার পকেটে পুরে দেশে ফিরছেন এশিয়ার এই উদীয়মান গলফ তারকা।
রোববার প্রতিযোগিতার চতুর্থ দিনের ১৮টি হলের প্রতিটিতেই বেশ স্বাচ্ছন্দে খেলে যাচ্ছিলেন সিদ্দিকুর। প্রথম দুটি গর্তে পার অনুযায়ী বল ফেললেন তিনি। তৃতীয়বার গর্তে বল ফেলতে পারের চেয়ে কম শট খরচ করেন। পরের গর্তগুলোতে পারেই খেলে চললেন তিনি। নবম হোলেও সৌভাগ্য দেখা দিলো। পারের চেয়ে কম শট খেলে আবারো বার্ডি পান সিদ্দিকুর। দশম হোলেও বার্ডির দেখা মিললো তার।
এভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আগস্টে ব্রুনাই ওপেনজয়ী তারকা। প্রতিটি গর্তে যখন পার শটে খেলে যাচ্ছিলেন তিনি। সেরা দশে থাকাটাও অনেকটাই নিশ্চিত ছিলো। কিন্তু দুর্ভাগ্য দেখা দিলো ১৫তম হোলের খেলায়। পানি থেকে বল উঠিয়ে গর্তে ফেলতে পারের চেয়ে বেশি শট খরচ হয় তার (বগি)।
পরের হোলগুলোতে আর সৌভাগ্য ধরা দেয়নি সিদ্দিকুরের। অল্পের জন্য বার্ডি পাচ্ছিলেন না তিনি। পারে খেলে পরের গর্তগুলোতে বল পাঠান। ৬৯ শটে চতুর্থ রাউন্ডের খেলা শেষ করেন তিনি।
দিন শেষে ওই একটি বগিই পীড়া দিয়েছে তাকে। সব মিলিয়ে পারের চেয়ে (২৭১) পারের চেয়ে ১৩ শট কম খেলেন তিনি। পারের চেয়ে ১৪ শট কম খেললে জিততে পারতেন দুই লাখ ৩৭ হাজার ডলারেরও বেশি অর্থ!
এতে মন খারাপ করছেন না সিদ্দিকুর। প্রতিযোগিতায় ভালো পারফরমেন্স দেখিয়েছেন তাতে বেশ সন্তুষ্ট। প্রশংসা পেয়েছেন বড় তারকাদের কাছ থেকেও। এতে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন এই বাংলাদেশ তারকা। বলেন,‘‘ক্যারিয়ারকে আরো এগিয়ে নিতে চাই। অর্থ নিয়ে এখন ভাবছি না। আমার চিন্তা ছিলো প্রতিযোগীদের থেকে কিছু শেখা। আর অভিজ্ঞতাটাও মন্দ হয়নি। এই প্রতিযোগিতার পর আমার আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। ”
আগামী বছর ইউএস ট্যুর কোয়ালিফাইং স্কুলে অংশগ্রহণের ঘোষণাও দিলেন বাংলাদেশের গর্ব সিদ্দিকুর।
প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন যুক্তরাস্ট্রের বার্নি বেন ক্রেন। পারের চেয়ে ১৮ শট কম খেলে মিলিয়ন ডলার পকেটে পুরেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘন্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১০