ঢাকা: সৈকতের বালুর ওপর সিনথেটিক ম্যাটের উইকেটে খেলা। প্রতি দলে খেলছেন ছয়জন করে।
ফিটনেস আগের মতো নেই। সজোরে ব্যাট চালাতেও সমস্যা হচ্ছিলো। তবুও যুদ্ধের দামামা বেজেছে। ছোট মাঠে চার-ছক্কা একেবারে কম হয়নি। তবে জয়ের জন্য জীবন বাজি রেখে সবাই খেলেছে তাও বলা যাবে না। এই খেলাকে ক্রিকেট উৎসব বলাই ভালো।
প্রথম ম্যাচ হয়েছে অ্যাসেন্ট রয়াল ও অ্যাপেক্স গ্ল্যাডিয়েটরের মধ্যে। চার ওভার করে খেলা হয়। আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ৫২ রান করে রয়্যাল। সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন ববি। জবাব দিতে নেমে ১ উইকেটে ৪৫ রান তুলতে পারে অ্যাপেক্স। ১০ রানে অপরাজিত থাকেন জোতি।
অন্যম্যাচে মিলেনিয়াম নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেটে ৩৮ রান করে। জবাবে ২ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটে ৩৯ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে জোসেফাইট।
মোট ১৩টি দল নিয়ে হচ্ছে ওয়েকা বিচ ক্রিকেটের দ্বিতীয় আসর। প্রথম রাউন্ডের খেলা হচ্ছে তিনটি গ্রুপে। এ এবং বি গ্রুপের দুটি করে, সি গ্রুপের তিনটি এবং রানরেটে এগিয়ে থাকা দল নিয়ে হবে কোয়ার্টার ফাইনাল। দ্বিতীয় রাউন্ডের বিজয়ী দল নিয়ে হবে সেমিফাইনাল। ৩০ অক্টোবর ফাইনাল হবে সেমিফাইনালের বিজয়ীদের মধ্যে।
কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ৫ ওভারের ম্যাচ হবে। প্রতি বোলার এক ওভার বল করার সুযোগ পাবেন। তবে ব্যাটসম্যানদের জন্য অতিরিক্ত নিয়ম সংযোজন করা হয়নি। আউট না হলে ইনিংসের শেষপর্যন্ত খেলার সুযোগ পাবেন।
দুপুরে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামান নূর এমপি, স্পন্সর সিটি সেল ও এবি ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং আয়োজক কমিটির কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘন্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১০