ঢাকা: বিলাসী ঢেউগুলো সৈকতে এসে মিলিয়ে যেতে থাকে। আগ্রহ নিয়ে অনেকেই দৃশ্যটি দেখেন।
সিগাল পয়েন্টে তিনদিন ধরে হবে সিক্স-এ-সাইড ক্রিকেট। কক্সসবাজারে বেড়াতে আসা মানুষ ভিন্ন স্বাদ নেওয়ার রসদ পেয়ে গেলেন। তামিম, আশরাফুল, সাকিবদের পূর্বসূরিরা খেলছেন বালুকাবেলার এই ক্রিকেটে। উৎসবের রঙে রঙ্গীন হয়ে উঠেছে সাবেকদের মিলন মেলা।
ক্রিকেটকে সব বয়সের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সাবেকদের এই উদ্যোগ কিছুটা হলেও কাজে দেবে বৈকি। জাতীয় দলের সাবেক তারকা শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুতের মুখেই শোনা যাক,“আমাদের মাধ্যমে ক্রিকেটের প্রচার পাচ্ছে। স্থানীয় তরুণদের মধ্যে খেলাটি নিয়ে আগ্রহ তৈরি হবে। কক্সসবাজার থেকে এখনো আন্তর্জাতিক মানের কোন ক্রিকেটার তৈরি হয়নি। আশা করি ভবিষ্যতে হবে। ”
নাঈমুর রহমান দুর্জয়রা শত ব্যস্ততার মাঝেও ক্রিকেটের টানে এসেছেন কক্সবাজারে। নাগরিক ব্যস্ততায় যাদের সঙ্গে মাসের পর মাস দেখা হয় না। বিচ ক্রিকেট তাদেরকে এক মঞ্চে নিয়ে এসেছে। সমাজে প্রতিষ্ঠা পাওয়া এই মানুষগুলো এখনো স্বপ্ন দেখেন ক্রিকেটের জন্য অনেক কিছুই করার। বিদ্যুতের ইচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া। বলেন,“আমি বিসিবির কর্মকর্তা হতে চাই। শিগগিরই বিসিবির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে দেখবেন আমাকে। ”
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক দুর্জয়ের দাবি ক্রিকেটের সঙ্গেই আছেন তিনি। ভবিষ্যতেও থাকবেন। বিচ ক্রিকেট সেই কাজে প্রেরণা যোগাবে। ”
বিসিবি এবং ক্লাব কর্মকর্তারাও জড়ো হয়েছেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। বিচ ক্রিকেটই ঢাকা থেকে কক্সবাজারে নিয়ে এসেছে তাদেরকে। গাজী আশরাফ হোসেন লিপু এবং হাবিবুল বাশার খেলতে আগ্রহী না হলেও দেশ টিভিতে বিচ ক্রিকেটের ধারাবর্ণনা দিচ্ছেন। অতএব বলাই যায় বাংলাদেশে নতুন ধারা তৈরি করতে যাচ্ছে বিচ ক্রিকেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘন্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১০