ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

রকিবুল-নাঈমের শতক, আশরাফুলও রানে

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১০
রকিবুল-নাঈমের শতক, আশরাফুলও রানে

ঢাকা: প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ৯০। দ্বিতীয় ম্যাচে হার না মানা ১০১ রান।

এককথায় দারুণ খেলছেন রকিবুল হোসেন। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অফ-ফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যান জাতীয় লিগের একদিনের টুর্নামেন্টে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। বরিশাল বিভাগ পেয়েছে টানা দ্বিতীয় জয়। রকিবুল পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

বরিশাল বিভাগ: ২৫২/৫ (৫০ ওভার)
খুলনা বিভাগ: ২৩৩/১০ (৪৮.২ ওভার)
ফল: বলিশাল ১৯ রানে জয়ী

বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে নাসির উদ্দিন ফারুকের ৪২, শাহরিয়ার নাফিসের ৪২, আরাফাত সানির ৩২ ও রকিবুলের হার না মানা ১০১ রানের ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং স্কোর পেয়ে যায় বরিশাল। এর জবাবে তুষার ইমরান ৯৮, অমিত মজুমদার ৪১ ও সগির হোসেন ২৫ রান তুলেও দলের পরাজয় এড়াতে পারেনি। টানা দ্বিতীয় হার মেনে নিতে হলো খুলনাকে।     

রাজশাহীর নাঈম ইসলাম এবং মুশফিকুর রহিমের কথা না বললেই নয়। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে চতুর্থ জুটিতে ২১২ রান তুলেছেন দুই মিডল অর্ডার। ফল, দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় জয় পেয়েছে রাজশাহী।

নাঈম ইসলাম জাতীয় লিগের একদিনের ক্রিকেটে প্রথম শতকও পেয়েছেন। প্রায় তিন ঘন্টা উইকেটে থেকে ১২৫ বলে, ছয়টি চার ও চারটি চারের মার দিয়ে, নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন নাঈম। চোখ ধাঁধানো শটগুলো মিরপুরের দর্শকদের বিনোদনের খোরাক ছিলো।

রাজশাহী বিভাগ: ২৮১/৬ (৫০ ওভার)
চট্টগ্রাম বিভাগ: ১৩০/১০ (৩৮.৫ ওভার)
ফল: রাজশাহী ১৫১ রানে জয়ী

অল্পের জন্য শতক মিস করা মুশফিকুর ৯৩ রানে নাজমুল ইসলামের বলে ক্যাচ তুলে বিদায় নিয়েছেন। ১১১ বলের ইনিংসে আটটি চার হাঁকিয়েছে জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক।

রাজশাহী ও চট্টগ্রামের মধ্যকার খেলা ছিলো মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৮১ রান তোলে দশম আসরের রানার্সআপ রাজশাহী।

জবাবে উদ্বোধনী ওভারের তৃতীয় বলেই উইকেট হারিয়ে বিপদ ডেকে আনে চট্টগ্রাম। দ্বিতীয় জুটিতে আফতাব আহমেদ এবং নাফিস ইকবাল বড় ইনিংসের আশা দেখালেও শেষপর্যন্ত ৭২ রানে থেমে যায়। ৭৩ রানে গিয়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।

নাফিসের ৩৪ এবং আফতাবের ৩০ রান ছাড়া চট্টগ্রামের ইনিংসে উল্লেখ করার মতো তেমন কিছু নেই। বরং রাজশাহীর বোলারদের প্রশংসা না করলেই নয়। ৪.৩ ওভার বোলিং করে ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন সাব্বির রহমান। সাকলাইন সজীব ৪ ওভারে ১১ রান দিয়ে নিয়েছেন ২টি উইকেট।

এছাড়া অলরাউন্ডার নাঈম ৭ ওভারে ৭ রান দিয়ে পেয়েছেন ২টি উইকেট। অলরাউন্ড পারফরমেন্স দিয়ে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন নাঈম ইসলাম। রাজশাহীর বিধ্বংসি বোলিংয়ে ১৩০ রানে অল-আউট হয় চট্টগ্রাম।

মোহাম্মদ আশরাফুল এবং শামসুর রহমান জয় উপহার দিয়েছেন ঢাকা বিভাগকে। প্রথম ম্যাচে ৪০ রান করা জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক দ্বিতীয় ম্যাচে অপরাজিত ৬৬ রান তুলেছেন ৫২ বলে। স্বভাব-সুলভ ব্যাটিংয়ে সাতটি চার ও দুটি ছয়ও হাঁকিয়েছেন। শামসুর রহমান ৫০ রান করেছেন ৮৮ বলে।
   
সিলেট বিভাগ: ১৫৮/১০ (৪৬.১ ওভার)
ঢাকা বিভাগ: ১৬২/৩ (৩০.৪ ওভার)
ফল: ঢাকা ৭ উইকেটে জয়ী

রাজশাহী শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে ১৫৮ রানে ইনিংস গুটিয়ে যায় সিলেটের। জবাবে শামসুর রহমান এবং আশরাফুল মিলে ৩০.৪ ওভারে ঢাকাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ঢাকার জয়ের নায়ক আশরাফুলকে দেওয়া হয়েছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘন্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।