ঢাকা: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল এবং পরিচালক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুলকে সাধারণত পাশাপাশি বসতে দেখা যায় না। রোববার বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বোর্ড সভাপতি এবং টুটুল পাশাপাশি বসেছেন।
সভাপতি নিজেই বিশ্বকাপের স্থানীয় আয়োজক কমিটির আহ্বায়ককে সংবাদ সম্মেলনে নিয়ে আসেন। মোস্তফা কামাল কথা বলেছেন, টুটুল পাশে বসে চুপচাপ শুনেছেন। শুধু প্রশ্নউত্তর পর্বে একবার ফোর পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক।
টুটুলের হঠাৎ সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পেছনে বিশেষ কারণ তো ছিলোই। বিসিবির গঠনতন্ত্র সংশোধনের দায়িত্ব পালন করছেন দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল। আর সংশোধিত গঠনতন্ত্রে বিসিবি সভাপতির ক্ষমতা কমানো হচ্ছে।
ক্ষমতা কমানোর প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বিসিবি সভাপতি বলেন,“আমার ক্ষমতা কেউ কমাতে পারবে না। আমি সরকারের প্রতিনিধি। সরকার ছাড়া কেউ কিছু করতে পারবে না। এছাড়া টুটুল সাহেব আমাদের কেন্দ্রীয় নেতা। ”
বাস্তবতা ভিন্ন। বিসিবি সভাপতির ওপরও খবর দারি করার মতো ধারা উপধারা জুড়ে দিয়ে গঠনতন্ত্র সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সভাপতির ক্ষমতা কমানোর বিষয়ে জানতে চাইলে কৌশলে উত্তর দিয়েছেন দেওয়ান শফিউল আরেফিন। বলেন,“সভাপতি যা বলেছেন এরপর আমার কিছু বলার থাকে না। ”
অবশ্য গঠনতন্ত্র সংশোধনের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আগামী ২৮ নভেম্বর বিসিবির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় নতুন ধারা-উপধারাগুলো নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনার পরই সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান মোস্তফা কামাল। এরপর ৩০ নভেম্বর গঠনতন্ত্র অনুমোদন হবে।
গঠনতন্ত্র নিয়ে জটিলতা হতে পারে জেনেই বার্ষিক সাধারণ সভার আলোচ্য বিষয় রাখা হয়নি। সে কারণেই বোধহয় শান্তিপূর্ণ ছিলো রোববারের সভা।
সভায় বিগত তিন বছরের বাজেট, আয়-ব্যয়ের হিসেব অনুমোদন করা হয়। এছাড়াও কাউন্সিলরদের অন্যতম দাবি ছিলো বিশ্বকাপের টিকিট। বোর্ড পরিচালনা পর্ষদের কাছে প্রত্যেকেই টিকিট পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চয়তা চেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘন্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১০