জোহানেসবার্গ: বিশ্বকাপ ফুটবলের পাদপ্রদীপের আলোয় আলোকিত হয় অনেকে। উল্টোও দেখা যায়।
দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ থেকে এরই মধ্যে কোটি কোটি ভক্ত-হৃদয় ভেঙ্গে বিদায় নিয়েছে অনেক দেশ। শুধু দেশ নয়, তারকা খ্যাতিতেও আঁচড় লেগেছে অনেক ফুটবলারের।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ান দল বিদায় নিয়েছে প্রথম রাউন্ড থেকে। ইতালির খেলোয়াড়দের জন্য সত্যিই হতাশার। চ্যাম্পিয়নদের পথে হেটেছে রানার্সআপ ফ্রান্সও। কোচের সঙ্গে খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্ব এবং বিদ্রোহ মিলিয়ে বেশ সমালোচিত হয়েছে ১৯৯৮’র বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
নাইজেরিয়ার ফুটবলারদের জন্য এটা অভিশপ্ত বিশ্বকাপ। প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায়ে সরকারিভাবে আগামী দুই বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিষিদ্ধ হয়েছে জাতীয় দল। সঙ্গে অন্যদেরও ভাগ্য পুড়িয়েছে সুপার ঈগলরা। কারণ আন্তর্জাতিক ফুটবলের কোন পর্যায়ে অংশ নেবে না নাইজেরিয়া।
এরপর নকআউট পর্বে পর্তুগাল, ইংল্যান্ডের প্রত্যাশিত বিদায় হতাশ করেছে নিজ নিজ দেশের মানুষদের। বিদায়ী প্রতিটি দলের খেলোয়াড়দেরই চড়া মূল্য দিচ্ছেন।
বিশ্বর সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কাছে ভক্তদের প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী। অথচ চার ম্যাচে মাত্র একটি গোল করতে পেরেছেন রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকা। মাঠে তার পারফরমেন্সও তেমন আহামরি ছিলো না। বরং বিতর্কের জন্ম দিয়ে এখন তিনি হতাশায় মুষড়ে পড়েছেন।
স্পেনের সঙ্গে নকআউট পর্বের বিদায়ী ম্যাচে নিজের নিদারুন কষ্টের কথা চেপে রাখতে পারেননি। বলেছেন,“আমি সম্পূর্ন ভেঙ্গে পরেছি। এ কষ্ট অকল্পনীয়। ”
উত্তর আমেরিকার দেশ ম্যাক্সিকোর কোচ আগুয়েরা নিজে থেকেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। গ্রিসের কোচ অটো রেহালও দীর্ঘ নয় বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে পদত্যাগ করেছেন।
৫০ বছর বয়সী ম্যাক্সিকোর কোচ বলেন,“ব্যর্থতার দায় সবার আগে আমার। আমি জানি আমার অব্যাহতি নেওয়া উচিত। এটাই সবচেয়ে ভালো সমাধান। ”
ওয়েনে রুনির কথা ভাবা যায় না। ইংলিশ লিগের সুপার স্টার রুনি বিশ্বকাপে দলের জন্য কোন গোল বয়ে আনতে পারেননি। মাঠে তার উপস্থিতি খুব একটা চোখে পড়েনি। তাকেও ক্ষমা চাইতে হয়েছে জাতির কাছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘন্টা, জুলাই ০১, ২০১০