ঢাকা: ‘৯.৩-১-২৫-৪’। সংখ্যাগুলো রুবেল হোসেনের ম্যাচ জেতানো বোলিংয়ের পারফরমেন্সের।
স্লগ ওভারে রুবেলকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। জয়ের জন্য শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিলো ৮ রান। প্রথম বলেই চার হাঁকান কাইল মিলস। আতকে ওঠার মতো অবস্থা। পরের ঘটনা রুবেলের মুখেই শোনেন,“প্রথম বলে চার রান দেওয়ার পরও ভয় হয়নি। অধিনায়ক আমাকে নির্ভয় দিয়ে বলেন, তুই পারবি। আজ তোর দিন। আমারও বিশ্বাস ছিলো পারবো। ”
ওভারের দ্বিতীয় বল ডট। আর তৃতীয় বলে মিলসের উইকেট উড়িয়ে দিয়ে জয়ের উল্লাসে ফেটে পড়েন রুবেল। অথচ ২০০৯ সালে জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে স্লগ ওভারে বাংলাদেশ দলকে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন। মুত্তিয়া মুরালিধরন রুবেলকে নাকাল করে জিতে নিয়েছিলো শিরোপা। কেঁদে বুক ভাসিয়েছিলেন রুবেল। এবার হেসেছেন,“এই জয়টা আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমার বোলিংয়ে জিতেছে বাংলাদেশ। দারুণ অনুভূতি। ”
এই প্রথম ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন রুবেল। ২১টি ওয়ানডে খেলে দ্বিতীয়বারের মতো ইনিংসে চার উইকেট পেয়েছেন। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চার উইকেট শিকার করেছিলেন। একদিনের ক্রিকেটে রুবেলের মোট উইকেট ২৫টি।
প্রথম ম্যাচে সাকিব আল হাসান, তৃতীয় ম্যাচে শাহরিয়ার নাফিস, চতুর্থ ম্যাচে ফের সাকিব। শেষটা রুবেলের।
বিজয় মঞ্চ থেকে পুরস্কার নেওয়ার পর প্রিয় বাবা-মায়ের মুখ ভেসে ওঠে রুবেল হোসেনের চোখের সামনে। যাদের অনুপ্রেরণায় ক্রিকেটার হওয়া, সেই বাবা-মায়ের সঙ্গে খেলা শেষে ফোনে কথা বলেছেন রুবেল হোসেন। পাঁচ ভাইবোনের সংসারে সবার ছোট রুবেল এখন পরিবারের গর্ব। বাগেরহাটের সোনার ছেলে। তার মতে,“আমার কাছে পরিবার সবার আগে। আজ এখানে দাঁড়িয়ে আছি পরিবারের জন্য। বাবা-মাকে ঘিরেই আমার সব স্বপ্ন। ”
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘন্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১০