ঢাকা: জয়ের আনন্দে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নিশ্চয়ই কেউ ভুলে যাননি। প্রথম ম্যাচের অধিনায়ক এখন দর্শক।
নিয়তি মাশরাফিকে মাঠে থাকতে দেয়নি। চোট যার নৃত্য সঙ্গী, মাঠে তার নিয়মিত হওয়া অনেকটা অনিশ্চিত। কিন্তু তিনি স্বরূপে আসবেন সাফল্যের দামামা বাজাতে। নিউজিল্যান্ডকে টানা তিন ম্যাচে হারিয়ে সে পথে অগ্রসর হলো বাংলাদেশ।
গ্যালারির দর্শক হলেও মনে প্রাণে জাতীয় দলের একজন মাশরাফি। সাফল্যের আনন্দ তাকেও ছুঁয়ে গেছে। বলছিলেন,“আমরা সিরিজ জিতেছি এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। এই সাফল্য আবেগের। এই পাওয়া পুরো জাতির। ”
বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন পূর্ণাঙ্গ দল। যে কোন প্রতিপক্ষের জন্য হুমকি স্বরূপ। নড়াইল এক্সপ্রেসের ভাষায়,“আমরা যে উন্নতি করেছি, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ই তার প্রমাণ। এজন্য কোচিং স্টাফকে ধন্যবাদ জানাই। গত দেড় দুই মাস কোচরা আমাদেরকে নিয়ে অনেক কাজ করেছেন। যার সুফল পেতে শুরু করেছি। ভবিষ্যতে ধারাবাহিকতা থাকবে বলেই আমার বিশ্বাস। ”
মাশরাফির মতে, বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এখন সামর্থ্য অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেন। অনেক দিন এক সঙ্গে খেলার ফলে নিজের ওপর আস্থা তৈরি হয়েছে। বলেন,“ধোনি, শচীন, জহির খান সবাই কিন্তু মুখস্থ খেলা খেলে। সবাইকে প্রতিদিন তো একই জিনিস করতে হয়। সাকিব আজ যে সেঞ্চুরি করেছে সেটাও কিন্তু অভিজ্ঞতার ফসল। আমার মনে হয় দিনে দিনে আমরা আরো পরিপক্ক হয়ে উঠবো। ”
জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা এখন মানসিকভাবেও এগিয়েছে বলে বিশ্বাস পেসার মাশরাফির। বলেন,“আমরা এখন ইতিবাচকভাবে খেলতে নামি। এই সিরিজের শুরু থেকে প্রত্যেকে জয়ের জন্য খেলেছে। কেউ ব্যাটিং ভালো করতে না পারলে বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তৃতীয় ওয়ানডেতে আমরা প্রতিটি জায়গাতেই ভালো করেছি। বৃহস্পতিবারে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েও জয় পেয়েছি। এটা সম্ভব হয়েছে ভালো খেলার মানসিকতা থেকে। ”
জাতীয় দলের এই পেসার আশা করেন সিরিজের বাকি ম্যাচটাও জিতে নেবে তার দল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘন্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১০