ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

বিশ্বকাপ উদ্বোধনীতে সৌজন্য টিকিটের ছড়াছড়ি

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১০
বিশ্বকাপ উদ্বোধনীতে সৌজন্য টিকিটের ছড়াছড়ি

ঢাকা: বাংলাদেশের অনেক মানুষই হয়তো অপেক্ষার প্রহর গুণছেন ২০১১ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখার জন্য। টিকিটের খোজ-খবরও শুরু করে দিয়েছেন।

তাদের জন্য দুঃসংবাদ দিয়েছে স্থানীয় আয়োজক কমিটি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য অল্প সংখ্যক (৫ থেকে ১০ শতাংশ) টিকিট বাজারে ছাড়া হবে। বাকি সব সৌজন্য টিকিট।

দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য সংরক্ষণ করা হবে সৌজন্য টিকিটগুলো। কিন্তু ২৫ হাজার ১৫৭ জন দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আড়াই থেকে তিন হাজার সাধারণ দর্শক এবং বিদেশি অতিথিদের আসন দেওয়ার পরও গ্যালারির বিশাল অংশ শূন্য পড়ে থাকার কথা। বোঝাই যাচ্ছে বাকি আসনগুলোর শোভা বাড়াবেন দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী এবং ম্যাচ টিকিট বাজারে ছাড়ার কথা ছিলো অক্টোবরের মাঝামঝি সময়ে। আপাতত সেটা হচ্ছে না। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির (এলওসি) পরিচালক আলী আহসান বাবু শনিবার বাংলানিউজকে জানিয়েছেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ১০০ দিন আগে টিকিট বাজারে ছাড়া হবে। হিসেব মতে ১১ নভেম্বর থেকে টিকিট বুথের লাইনে দাঁড়াতে পারেন আগ্রহী দর্শকরা।

এদিকে ভারতের বেঙ্গালুরুতে বিশ্বকাপ কেন্দ্রীয় আয়োজক কমিটির সভা শেষে হাসি মুখেই দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের আয়োজক কমিটির কর্মকর্তারা। শনিবার আলী আহসান বাবু জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ভেন্যু নিয়ে সন্তুষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি। আগামী ৩০ নভেম্বর আইসিসিকে ভেন্যু বুঝিয়ে দিতে হবে। অক্টোবরে তৃতীয় সপ্তাহ থেকে আইসিসির ভেন্যু পরিদর্শক দল বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশগুলোতে মাঠ পর্যবেক্ষণে যাবে। ১০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে পরিদর্শন। সবার শেষে বাংলাদেশ সফরে আসবেন আইসিসির কর্মকর্তারা।

সাধারণত মাঠের ভেতরের সুযোগ সুবিধাগুলোই খতিয়ে দেখবেন ভেন্যু পরিদর্শক দলের কর্মকর্তারা। সেদিক থেকে বাংলাদেশের ভেন্যুগুলো অনেকটাই প্রস্তুত হয়ে গেছে। যদিও স্টেডিয়ামের বাইরে অনেক কাজই অযতেœ-অবহেলায় পড়ে আছে।

আইসিসির কাছে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় ভেন্যু ভারতের মুম্বাই স্টেডিয়াম এবং শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় ভেন্যু সংস্কার নিয়ে কিছুটা হলেও অসন্তুষ্ট আইসিসি।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী, ফতুল্লাহ খান সাহেব ওসমান আলী এবং খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামকে বিশ্বকাপের ভেন্যু করা হয়েছে। খেলা হবে মিরপুর এবং চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে। কেবল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। বাকি দুটো বিকল্প ভেন্যু।

মিরপুর স্টেডিয়ামের ২৬ হাজার ৪৩৪ জন দর্শক খেলা দেখার সুযোগ পাবেন। এছাড়া ফতুল্লাহ স্টেডিয়ামে ১৮ হাজার এবং চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে ১৬ হাজার ৪৪ জন দর্শক খেলা দেখতে পাবেন।

এছাড়া ১৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়া ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান উইজক্রাফটের বিষয়ে আপত্তি তোলেনি আইসিসি। বাংলাদেশের এশিয়াটিক সোসাইটিকে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করবে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি।

আলী আহসান বাবু জানিয়েছেন বাংলাদেশের ভেন্যুগুলোতে মিডিয়ার সুযোগ সুবিধা নিয়েও সন্তুষ্ট কেন্দ্রীয় আয়োজক কমিটি। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সের আসন বাড়িয়ে ২০৪ এ উন্নীত করা হচ্ছে। বর্তমানে ১২৪ জন সাংবাদিকের জন্য আসন সুবিধা আছে শেরেবাংলায়।

কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে ২০১১ সালে বিশ্বকাপের প্রোমশনাল বিজ্ঞাপনে শচীন টেন্ডুলকার এবং মুত্তিয়া মুরালিধরনের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিবেন সাকিব আল হাসান।   

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘন্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।