ঢাকা: পেশাদার লিগ ফুটবলে বেশ কয়েকটি ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ উঠলেও পাতানো ম্যাচ তদন্তে কোনো জোর তৎপরতা নেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)’র।
পেশাদার লিগের চতুর্থ আসরে রহমতগঞ্জ ও শেখ জামালকে ‘সমঝোতার ম্যাচ’ খেলার অভিযোগে ক্লাব দুটিকে শাস্তি দেওয়ার পর নতুন মৌসুমে লিগের প্রথম দিকে পাতানো ম্যাচ শুরুতে অভিযোগ উঠেনি।
কমিটির প্রথম বৈঠকে আগের মৌসুমে রহমতগঞ্জ ও শেখ জামালের ম্যাচে বাফুফের তদন্তকমিটির কার্যপন্থা বোঝা এবং এবারের লিগে ব্রাদার্সের বিপক্ষে রহমতগঞ্জের ৪-০ গোলে জয়ে সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট দেখা হয়। সেখানে ওই ম্যাচের ভিডিও ফুটেজ, পেপার কাটিং দেখে বিভিন্ন তথ্য খুঁজতে চেষ্টা করেন কর্মকর্তারা। এ নিয়ে কমিটি দুটি বৈঠকেও বসলেও ঝিমিয়ে পড়েছে তদন্ত কার্যক্রম।
এরই মধ্যে একাধিক ম্যাচই গড়াপেটার অভিযোগ উঠছে। বুধবার শেখ জামালের বিপক্ষে রহমতগঞ্জ ২-৪ গোলের হারেও পাতানো ম্যাচের নতুন গুঞ্জন উঠে। ২৫ মিনিটে রাইট ব্যাক রিমনকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেন কোচ মাহমুদুল হক লিটন। এখানেই পাতানো ম্যাচের গন্ধ খুজে পান সমর্থকরা। ম্যাচ শেষে ম্যাচ পাতানোর জন্য ক্লাব কর্মকর্তাদের দোষেন। এছাড়া শনিবার ৩০ মিনিটে দশজনের দল নিয়েও ব্রাদার্সের বিপক্ষে আবাহনীর ৪-২ গোলের জয় ফুটবলাঙ্গনে সন্দেহের উদ্রেক করে।
এদিকে পাতানো ম্যাচ সনাক্তকরণ কমিটির কার্যক্রম নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বাফুফের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘আসলে তদন্ত কমিটির চার সদস্যের মধ্যে তাজুল ইসলাম অসুস্থ। তিনি লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত। কমিটির দ্বিতীয় সভার আগেই তার এই রোগ ধরা পড়ে। অন্যদিকে কমিটির অন্যতম সদস্য ড. মহিউদ্দিন আহমেদ বিদেশে ছিলেন। তাই কমিটি আর বৈঠকে বসতে পারেনি। আশাকরি এ সপ্তাহেই তাজুল ইসলাম ছাড়া বাকি তিনজন তৃতীয় সভায় বসবেন। এছাড়া তাজুল ইসলাম অসুস্থ থাকায় এই কমিটি পুর্নগঠনের প্রয়োজন হতে পারে। রোববার আমরা এই বিষয়ে বৈঠকে বসবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১২
এএইচবি
সম্পাদনা: চঞ্চল ঘোষ, নিউজরুম এডিটর