ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

খেলা

পেসার হান্ট নেই, পেসবোলিং উন্নয়ন কর্মশালা আছে

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১২
পেসার হান্ট নেই, পেসবোলিং উন্নয়ন কর্মশালা আছে

ঢাকা: দ্রুতগতির বোলার অন্বেষণ কর্মশালা অনেক আগেই বন্ধ হয়েছে। ২০০৭ সালের পর দ্রুতগতির বোলার তুলে আনতে কোনো কাজ হয়নি।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র কর্মকর্তারা ওদিকে নজর দেওয়ার মতো সময়ও পাচ্ছেন না।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে দ্রুতগতির বোলার খুঁজে আনতে জাতীয় দলের সাবেক কোচ সারওয়ার ইমরানের তত্ত্বাবধানে ২০০৫ এবং ২০০৭ সালে ‘গ্রামীণফোন পেসার হান্ট’ কর্মশালা হয়। আজকের রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম ওই পেসার হান্টের ফসল। আরও বেশ করেকজন দ্রুতগতির বোলার খুঁজে আনতে পেরেছিলেন ইমরান। গত পাঁচ বছরে বয়সভিত্তিক দল থেকে বেশ কয়েকজন পেসার তৈরি হলেও আবুল হাসান রাজু ছাড়া একজনও চোখে পড়ার মতো পারফরমেন্স করেননি।

জাতীয় দলের ক্যাম্পে যে কয়জন পেসার আছে তাদের বেশির ভাগই চোটাক্রান্ত। রুবেল হোসেনের কাঁধে অস্ত্রোপচার হয়েছে। শফিউল ইসলামের কাঁধেও চোট আছে। তরুণ পেসার রাজুর গোড়ালিতে একবার অস্ত্রোপচার হয়েছে। মাশরাফি বিন মুর্তজা ক্যারিয়ারের শুরু থেকে চোটের সঙ্গে মিতালি। আরেক পেসার নাজমুল হোসেনের অবস্থা তুলনামূলক ভালো। তিনি তো আর অত বেশি ক্রিকেট খেলেন না, অতিরিক্ত তালিকায় থাকায় বিশ্রাম পান। আপাত দৃষ্টিতে মনে হবে অনেক পেস বোলার আছে বিসিবির হাতে। কিন্তু নির্বাচকরা দল বানাতে গেলে বিপদে পড়েন। ডলার মাহমুদ, রাসেল হোসেন, মাহাবুবুল আলম রবীন রেস থেকে ছিটকে পড়ায় চোটাক্রান্তদের নিয়েই দল গোছাতে হয় নির্বাচকদের।

যদিও বিসিবি গেম ডেভলপমেন্ট প্রতিবছর পেস বোলিং ডেভলপমেন্ট ক্যাম্প করে। সঙ্গে পেসার হান্ট কার্যক্রম থাকলে বেশি বেশি সংখ্যক বোলার পাওয়া যেতে বলে মনে করেন গেম ডেভলপমেন্ট বিভাগের সদস্য জাতীয় দলের সাবেক কোচ জালাল আহমেদ চৌধুরী। পেসার হান্ট কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনের ঘটনা তুলে ধরে জালাল আহমেদ বলেন, ‘প্রথমত স্পিড গান নেই। যেটা ছিলো সেটা অকেজো। এছাড়া একটি জেলায় পেসার খুঁজতে গেলে কম করে ১০ দিন সময় লাগে। অত সময় দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে পেসার হান্ট কার্যক্রম বন্ধ আছে। তবে এখন নিয়মিত পেস বোলিং ডেভলপিং ক্যাম্প হয়। এখান থেকেও পেসার বেরোচ্ছে। ’

নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গেম ডেভলপমেন্ট বিভাগ বৃহস্পতিবার থেকে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২২ জন তরুণ এবং কিশোর পেসারের মানোন্নয়নে দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ কর্মশালা করবে। তাদের বাছাই করা হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯, ১৭ এবং জাতীয় স্কুল ক্রিকেটে যারা খেলেছেন তাদের মধ্য থেকে। গেম ডেভলপমেন্টের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার নাজমুল আবেদীন ফাহিম মঙ্গলবার বাংলানিউজকে বলেছেন, ‘একটা প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে ২২ জন ছেলেকে নির্বাচন করা হয়েছে। এখন তাদের বোলিং, ব্যাটিং এবং ফিল্ডিং সম্পর্কে কিছু শিক্ষা দেওয়া হবে। মাঠের বাইরেও কিছু কিছু জিনিস তাদেরকে শেখানো হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১২
এসএ
সম্পাদনা: চঞ্চল ঘোষ, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।