ঢাকা: প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে হঠাৎ করেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ফেনী সকার ক্লাব। আগের ম্যাচে মোহামেডানকে হারিয়ে উজ্জ্বীবিত সকার বৃহস্পতিবার ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৮৯ মিনিট এগিয়ে থেকেও শেষপর্যন্ত এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ১১ মিনিটেই এগিয়ে যেতো পারতো ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ডানপ্রান্ত থেকে মিডফিল্ডার জামাল হোসেনের বাড়িয়ে দেওয়া বলে বক্স থেকে আলমগীর অনিকের শট ক্রস পিচ ঘেষে বাইরে চলে গেলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ফেনী সকার।
১৪ মিনিটে সুযোগ নষ্ট করে ফেনী। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড রোল্যান্ড গোলরক্ষক উত্তম বড়–য়াকে একা পেয়েও নিশানাভেদ করতে পারেননি। তার শট আটকে দেন উত্তম। তবে ৩৭ মিনিটে মাঝমাঠ খেলোয়াড় শাহেদুল আলমের গোলে এগিয়ে যায় ফেনী। বক্স থেকেও শাহেদের মাপা শট গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জালে প্রবেশ করে (১-০)।
বিরতির পর সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠে গোপীবাগের ক্লাবটি। ৬১ মিনিটে মালেকের ক্রসে পোস্টের কাছেই অবস্থান নেওয়া ফরোয়ার্ড কিংসলে চিগুজি মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন। তবে ৮৯ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় তৌহিদুল ইসলাম সিদ্দিকের দুর্দান্ত এক গোলে সমতায় ফেরে ব্রাদার্স। মাঝমাঠ থেকে হাবিব ডিওফের বাড়ানো বলে ফেনীর এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের শটে গোলরক্ষক আরিফুল ইসলামকে পরাস্ত করেন তৌহিদ (১-১)।
অতিরিক্ত সময়ে ব্রাদার্সের কিংসলেকে বিপদ সীমায় ফেলে দেন ফেনী ডিফেন্ডার মওদুদ আহমেদ। পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। তবে পেনাল্টি থেকে নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার অ্যাডামস জানকাসা গোল করতে ব্যর্থ হলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়ে ব্রাদার্স।
আট ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ব্রাদার্স। চার ড্র, দুই হার ও দুইটিতে জয় পেয়েছে গোপীবাগের ক্লাবটি। অন্যদিকে সমান ম্যাচে নয় পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ষষ্ঠস্থানে আছে ফেনী সকার। দুই জয়, তিন ড্র ও তিন ম্যাচে হেরেছে সকার।
ম্যাচ শেষে ব্রাদার্স কোচ সৈয়দ নাঈমুদ্দিন বলেন, ‘হার্ড লাক আমাদের। খেলোয়াড়রা পরিশ্রম ও চেষ্টা করেছে। তবে অনেকগুলো গোল মিস না করলে জয় পেতাম আমরা। ’
অন্যদিকে পূর্ণ তিন পয়েন্ট না পাওয়ার জন্য শেষ দিকে খেলোয়াড়দের মনোযোগের অভাবকেই দায়ী করছেন ফেনী সকার কোচ রেজাউল হক জামাল, ‘লুজ মার্কিং এর কারণে গোল খেতে হয়েছে আমাদের। শেষ কয়েকটি মিনিটি ক্যাজুয়াল খেলেছে দল। তবে পেনাল্টি সেভ করাটা ছিলো সৌভাগ্য। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১২
এএইচবি/সিজি
সম্পাদনা: সেকান্দার আলী, বিভাগীয় প্রধান স্পোর্টস