ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

পুঁজিবাজার দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
পুঁজিবাজার দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে

ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এমডি কেএএম মাজেদুর রহমান বলেছেন, মুদ্রানীতি ঘোষণার পর ঋণ আমানতের অনুপাত (এডিরেশিও) কমানো এবং কৌশলগত বিনিয়োগকারী ইস্যুতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছু সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এগুলো নীতি নির্ধারণের বিষয়। এতে মার্কেটের খুব বেশি ক্ষতি হবে না।

তিনি বলেছেন, বাজার কিছুটা উঠবে নামবে, এটা স্বাভাবিক বিষয়। বর্তমানে বিশ্ব পুঁজিবাজারে বাংলাদেশের চেয়ে বড় দরপতন হচ্ছে।

সেখানে বাংলাদেশের বাজারে তুলনামূলক কম হচ্ছে।

বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইর কনফারেন্স রুমে জরুরি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ডিএসইর এমডি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিএসইর পরিচালক ছায়েদুর রহমান, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব খায়রুল বাসার প্রমুখ।

ডিএসই’র এমডি বলেন, মুদ্রানীতির কারণে ব্যাংকের তারল্য সংকট হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতির কার্যকারিতার সময় আরো ছয় মাস বৃদ্ধি করেছে। আশা করছি বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। দ্রুত বাজার ঘুরে দাঁড়াবে। বিনিয়োগকারীদের এখনই বিনিয়োগের উত্তম সময় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মাজেদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনার ফলে এডিরেশিও দুই শতাংশের মতো গ্যাপ সৃষ্টি হয়েছিলো। তবে সেটা বাংলাদেশ ব্যাংক ৬ মাস পিছিয়ে দিয়েছে। এর পেছনে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সচেতনমূলক নীতি কাজ করছে। আশা করি এতে আমরা সবাই সাড়া দিতে পারবো।

তিনি বলেন, মুদ্রানীতির কারণে ব্যাংকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুঁজিবাজারের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অর্থের উৎসে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিলো। সেগুলো অত্যন্ত সাময়িক। আমরা আশা করছি শিগগিরই ঠিক হয়ে যাবে। এসব সমস্যার কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিলো, আসলে কি হতে যাচ্ছে। তবে আমি বলবো বাজারের এই সময়টা খুবই ভালো। সচেতন বিনিয়োগকারীরা এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, তারা অচিরেই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন এবং আশা করছি আগামীকাল থেকেই একটি পজেটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে। ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী কারা হবেন, সেটা নিয়ে হয়তো অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন। আসলে এতে দ্বিধাদ্বন্দ্বের কিছু নেই। এর অত্যন্ত সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে।  নীতিমালার অধীনে কৌশলগত বিনিয়োগকারী বাছাইয়ে আমরা যে প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছি, তা অত্যন্ত স্বচ্ছ। ডিএসইর পর্ষদের যে সুপারিশ ছিলো তা আমরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) পাঠিয়েছি এবং ওনারা সেটা দেখছেন। ওনারা যেটা দেখবেন আমরা সেটাই গ্রহণ করবো।

ডিএসই’র এমডি বলেন, কমিশন আমাদের জানিয়েছে আমরা যার প্রস্তাব পাঠিয়েছি, তারা শুধু সেটাই পরীক্ষা করে দেখছেন। আমরা শেনজেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কনসোর্টিয়াম’র প্রস্তাব পাঠিয়েছি। সেই প্রস্তাবটাই ওনারা পরীক্ষা করে দেখছেন। এ বিষয়টির (কৌশলগত বিনিয়োগকারী) সঙ্গে মার্কেটের একটি সম্পর্ক আছে। তবে এর জন্য বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এ রকম কোনো কারণ নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮/আপডেট: ২১২৩ ঘণ্টা
এমএফআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।