ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

সিডিবিএল মাশুল কমানোর সুপারিশ ডিএসই’র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৫
সিডিবিএল মাশুল কমানোর সুপারিশ ডিএসই’র

ঢাকা: শেয়ার লেনদেনের ওপর সেন্ট্রাল ডিপোজেটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) ধার্যকৃত মাশুল কমানোর সুপারিশ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
 
বুধবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কার্যালয়ে বিএসইসি-ডিএসই বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।


 
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, পুঁজিবাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে এ আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বিএসইসি-ডিএসই’র নিয়মিত বৈঠক, সিডিবিএল চার্জ কমানোসহ পাঁচটি বিষয়ে আলোচনা হয়।
 
বর্তমানে শেয়ার নিষ্পত্তি, লেনদেন ও স্থানান্তরের ক্ষেত্রে শেয়ারের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্যের ওপর ০.০১৭৫ শতাংশ হারে মাশুল নিচ্ছে সিডিবিএল। একই সেবার ক্ষেত্রে ভারতীয় সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি সার্ভিসেস লিমিটেড (সিডিএসএল) শেয়ারসংখ্যা ও লেনদেনের ভিত্তিতে মাশুল নেয়। ভারতীয় অপর প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ ডিপোজিটরি লিমিটেড (এনএসডিএল) শেয়ার লেনদেনের ক্ষেত্রে কেবল ডেবিট অ্যান্ট্রির ওপর চার্জ নেয়।
 
প্রতিদিনের লেনদেনের চার্জ ছাড়াও সিডিবিএল শেয়ার ডিমেট, ট্রান্সফার, রাইট বা বোনাস শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রেও বাড়তি ফি নিচ্ছে। বাড়তি এসব মাশুল অযৌক্তিক বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারী ও হাউজ কর্মকর্তারা। এ প্রেক্ষাপটে সিডিবিএল চার্জ কমানোর দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। এরই ধারাবাহিকতায় ডিএসইর পক্ষ থেকে সিডিবিএল মাশুল কমানোর প্রস্তাবনা দেওয়া হলো।
 
বৈঠক শেষে ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক আবুল হাশেম বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ডিএসইর মাঝে মাঝে বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, ওই বৈঠক যাতে ত্রি-পক্ষীয় হয় (বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি ও ডিএসই)।
 
তিনি আরো বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সিডিবিএল চার্জ কমানোর জন্য ডিএসই প্রস্তাব দিয়েছে। কারণ বর্তমান যে চার্জ সিডিবিএল নেয় সেটি অনেক আগের নির্ধারণ করা। ওই সময় ডিএসইতে প্রতিদিন লেনদেন হতো ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা। বর্তমানে এ লেনদেন দুইশ’ থেকে আড়াইশ’ কোটি লেনদেন হয়। এ বিষয়টি বিবেচনা করে সিডিবিএল’র চার্জ কমানোর সুপারিশ করেছি আমরা।
 
বৈঠকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) নিয়েও আলোচনা হয়। বিএসইসি নির্দেশনা দিয়েছে, ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে আইপিও আবেদন প্রক্রিয়া যারা এখনো শুরু করতে পারেনি, সেসব প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে প্রস্ততি সম্পন্ন করতে হবে।
 
এছাড়াও স্ট্যাডিটিজিক পার্টানার খোঁজা ও ট্যাক্স হলিডের বিষয়ে বিএসইসির কাছে কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে ডিএসই।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।