ঢাকা, শনিবার, ২ কার্তিক ১৪৩২, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

সারাদেশ

টাঙ্গাইলে পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামি গ্রেপ্তার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:১৬, অক্টোবর ১৮, ২০২৫
টাঙ্গাইলে পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামি গ্রেপ্তার গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে পৃথক অভিযানে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও ধর্ষণ মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৪।  

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সখীপুরের প্রতিমাবংকী গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে ফজলু মিয়া (৪০) ও কালিহাতীর তেজপুর রতনগঞ্জ গ্রামের সোলায়মান ভুঁইয়ার ছেলে মেহেদী হাসান মিলন (৩০)।

এদের মধ্যে একজন বিএনপি নেতা রয়েছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার রাতে নিজ কার্যালয়ে র‌্যাব-১৪ এর ৩ নম্বর কোম্পানি কমান্ডার মেজর কাওছার বাঁধন জানান, ১৪ অক্টোবর সকালে সখীপুরে দ্বিতীয় শ্রেণির (১০) এক শিশুকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে অভিযুক্ত তার কথিত মামা ফজলু মিয়া গজারি বনের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যদের কাছে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সখিপুর থানায় মামলা করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় সখীপুরের নলুয়া থেকে শিশুকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. ফজলু মিয়াকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া পর্নোগ্রাফি মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইলের মেহেদী হাসান মিলন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে কৌশলে ওই নারীর ২২ সেকেন্ডের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে তা প্রকাশের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করেন।

ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন মিলন। সর্বশেষ গত ৪ অক্টোবর আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ও ভুক্তভোগীকে অপহরণের হুমকি দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ফরিদপুর ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে শুক্রবার বিকেলে কালিহাতীর তেজপুর থেকে আসামি মেহেদী হাসান মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।