বরিশাল: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ তিন দফা দাবি পূরণে উপাচার্যের লিখিত আশ্বাস পেয়ে আমরণ অনশন ভেঙেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
টানা আন্দোলনের ৩৮তম দিন শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় উপাচার্য নিজ হাতে জুস খাইয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-১ এর নিচতলায় আমরণ অনশনে বসেছিলেন সাত শিক্ষার্থী। অনশন শুরুর কিছুক্ষণ পরে উপাচার্য কর্মসূচি স্থলে এসে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেন।
কিন্তু তাতে শিক্ষার্থীরা রাজি না হওয়ায় উপাচার্য নিজেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে শুয়ে রাত কাটান।
লিখিত আশ্বাসে ববি উপাচার্য বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগের পর থেকে আগামী ছয় মাসের মধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডিজের কাজ সম্পন্ন করবো। মঙ্গলবারের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রুটে বাসের সিট সংকট নির্ধারণ করে ওই রুটে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। আরেকটি অ্যাম্বুলেন্স কিনতে মন্ত্রণালয়ে বিশেষ বিবেচনায় প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য রোববার আবেদনপত্র দাখিল করা হবে। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ববির আয়তন বাড়াতে জমির পুনঃ অ্যাসেসমেন্ট সম্পন্ন করা হবে।
অনশন ভাঙানোর সময় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে আমার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। দাবি পূরণ করতে না পারলে আমি বিদায় নেব। এসময় তার ওপর আস্থা রাখতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান তিনি।
অনশনরত শিক্ষার্থী শওকত ওসমান স্বাক্ষর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমাদের দাবিগুলো পুরণের লিখিত আশ্বাস দেওয়াই নিদিষ্ট একটি সময়ের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছি। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ফের মাঠে নামতে বাধ্য হব।
এমএস/এসআই