গাজীপুর: গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী থানার বাইমাইল এলাকায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তুরাগ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়া ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে লাশটি উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল।
নিহত ওই ব্যবসায়ী হলেন- গাজীপুর মহানগরের টান কড্ডা কাঁঠালিয়া পাড়া এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে আমজাদ হোসেন (২৬)।
নিখোঁজ ব্যবসায়ীর স্বজনদের অভিযোগ মাইক্রোবাসযোগে ডিবি পুলিশ এসে আমজাদ হোসেনকে ধাওয়া করে। এ সময় ভয়ে তিনি নদীতে ঝাঁপ দেন এবং নিখোঁজ হন। আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই। তিনি বালুর ব্যবসা করতেন।
স্বজন, এলাকাবাসী ও ডুবুরি দল সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী থানার বাইমাইল এলাকায় বালুরগদিতে বসে ছিল আমজাদ হোসেন। এক পর্যায়ে একটি মাইক্রোবাসযোগে ৮-১০ জন লোক এসে তার অফিসের চারদিকে ঘিরে ফেলে এবং নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়। পরে তারা আমজাদ হোসেনকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বালুর ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে ডিবি পুলিশ পরিচয় দেওয়া লোকজন পেছন থেকে তাকে ধাওয়া করে।
উপায় না পেয়ে আমজাদ হোসেন তুরাগ নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে তার পেছনে ধাওয়া করা লোকজন চলে যায়। এরপর থেকেই আমজাদ হোসেন নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে আমজাদ হোসেনের পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী তাকে খোঁজাখুঁজি করে তার কোনো সন্ধান পায়নি। পরে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।
একপর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে ২-৩ কিলোমিটার ভাঁটিতে কালাকৈর এলাকায় একটি বিলে আমজাদ হোসেনের ভাসমান লাশ দেখতে পায় ডুবুরি দল ও তার স্বজনরা। পরে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের লিডার মো. ইদ্রিস আলী জানান, নদীতে ঝাঁপ দিয়ে বালু ব্যবসায়ী নিখোঁজ হন। পরে সারাদিন খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ওই ব্যবসায়ীর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি পানির স্রোতে ভেসে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২-৩ কিলোমিটার দূরে চলে যায়।
আরএস/জেএইচ