ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ১২ আগস্ট ২০২৫, ১৭ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

মাদারীপুরে ফেরিওয়ালাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে চোখ উৎপাটনের চেষ্টা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:০৬, আগস্ট ১১, ২০২৫
মাদারীপুরে ফেরিওয়ালাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে চোখ উৎপাটনের চেষ্টা মাদারীপুর

মাদারীপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চুরির অপবাদ দিয়ে ‘মব’ সৃষ্টি করে ঘর থেকে তুলে নিয়ে জাকির শেখ নামে এক ফেরিওয়ালার দুই চোখ উৎপাটনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।  

ভুক্তভোগী জাকির শেখ (৫০) সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের ‘পশ্চিম মাঠ বাঘাবাড়ি’ এলাকায় ওয়াজেদ শেখের ছেলে।

আহত জাকিরের পরিবারে ৯ সন্তান ও তার স্ত্রী রয়েছেন। বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে কসমেটিকস্ বিক্রি করেন জাকির।  

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে চোর সন্দেহে দুইজনকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে রোববার (১০ আগস্ট) সকালে ‘মব’ সৃষ্টি করে ৪০-৫০ মিলে জাকিরকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে খেজুর গাছের কাঁটা দিয়ে খুঁচিয়ে চোখ নষ্ট করে ফেলার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথম মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী জাকির শেখের স্ত্রী ঝিনুক বেগম অভিযোগ করে বলেন, শনিবার রাতে সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের ‘পশ্চিম মাঠ বাঘাবাড়ি’এলাকায় চোর সন্দেহে একই এলাকার আলতা মাতুব্বরের ছেলে ইস্রাফিল মাতুব্বর (৪০) ও শ্রীনদী রায়েরকান্দি গ্রামের সিরাজ শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার (২৫) নামে দুই যুবককে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা।

পরে এই ঘটনাকে ব্যবহার করে পূর্ব শত্রুতার জেরে রোববার সকালে ঘর থেকে ফেরিওয়ালা জাকির শেখকে তুলে নিয়ে যায় একই এলাকার কোহিনুর, কামাল, সজিব, ওমর, শফিকুলসহ বেশ কয়েকজন। পরে খেঁজুর গাছের কাটা দিয়ে জাকির দু’চোখ ক্ষতিগ্রস্ত করে তারা। চেষ্টা করা হয় চোখ উৎপাটনের। জাকির ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় হালমাকারীরা। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জাকিরকে ফাঁসাতে তার চোখের ক্ষতি করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।

স্থানীয় বাসিন্দা ফয়সাল বাপ্পী জানান, শনিবার রাতে চুরির ঘটনা ঘটেনি। চুরির অপবাদ দিয়ে জাকিরের চোখ তুলে ফেলার চেষ্টা করে। মূলত পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এই কাজ করেছে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যদি কেউ পূর্ব শত্রুতার জেরে জাকির শেখের দু'চোখ ক্ষতিগ্রস্ত করে তাহলে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। চুরি করতে গিয়ে কোনো ব্যক্তি আটক হলে তাকেও মারধর করার কোন সুযোগ নেই। ঘটনাটি আমরা গভীরভাবে তদন্ত করছি। এর পেছনের কারণও অনুসন্ধানের চেষ্টা করছি। কেউ যদি ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য এমন কর্মকাণ্ড করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।

এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

সারাদেশ এর সর্বশেষ