ফরিদপুর: দুর্দিনে বিএনপির যেসব নেতাকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের আমরা অগ্রাধিকার দেব বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম খান বাবুল।
তিনি বলেন, আমাদের বিএনপির যেসব নেতারা দুর্দিনে অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, মামলা, হামলার শিকার হয়েছেন।
সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপি আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শহিদুল ইসলাম খান বাবুল বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিনা অপরাধে আট বছর জেল খেটেছেন। আমাদের নেতা তারেক রহমান ১৭ বছর ধরে দেশে আসতে পারেন নাই। গত ফ্যাসিবাদী সরকার অনেক গুম, খুন, নির্যাতন করেছে, এর বিচার আমরা করবো।
তিনি বলেন, লোভে পড়ে যারা বিএনপিতে যুক্ত হচ্ছেন তারা দূরে থাকেন। বিএনপির সম্মান নষ্ট করবেন না, কোনো নেতাকর্মী যদি কোনো অপরাধমূলক কাজ করেন তাকে ছাড় দেবো না। ফরিদপুরে অনেক প্রবাসী ভাইয়েরা বিদেশ থাকেন। দেশের জন্য তারা অনেক অবদান রাখেন, তারা কিন্তু দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। তাদের পরিবার দেশে থাকে, তারা অনেক জুলুম, অন্যায় অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন। আমি বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে বলতে চাই, তাদের বিরুদ্ধে যদি জমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ভূমি দস্যুতা, জুলুম করেন আমরা ছাড় দেব না।
তিনি আরও বলেন, গত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের কার্যক্রম চলমান একটি প্রক্রিয়া। নির্বাচিত সরকার এসে তাদের বিচারের ধারা অব্যাহত রাখবে। দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিবাদ সরকারের শাসন আমলে রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তম্ভ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন।
ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েলের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি ও উদ্বোধক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদারেস আলী ইছা, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নান্নু, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খাইরুল আনাম প্রমুখ।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে ভাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভা থেকে আগত বিএনপির শত শত নেতাকর্মীরা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে মিছিল নিয়ে স্লোগানে মুখোরিত উৎসবমুখর পরিবেশে ১৭ বছর পর অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন। বেলা ১১টার মধ্যে ভাঙ্গা উপজেলা চত্বর ও সম্মেলন কক্ষে কানায় কানায় ভরে যায়।
আরআইএস