ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৬ জুন ২০২৫, ০৯ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

সেতু দেবে আখাউড়া-কসবা সড়কে যান চলাচল বন্ধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:২২, জুন ৫, ২০২৫
সেতু দেবে আখাউড়া-কসবা সড়কে যান চলাচল বন্ধ মাঝ বরাবর দেবে যাওয়া সেতুটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া এলাকায় আখাউড়া-কসবা আঞ্চলিক সড়কের কাকিনা খালের ওপর নির্মিত সেতুটির মাঝ বরাবর দেবে গেছে। ফলে উপজেলা প্রশাসন জনস্বার্থে ওই সেতু দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকে সেতুর দেবে যাওয়া অংশ আরও নেমে গেছে। এতে উভয় পাশে রেলিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেতুর দুই প্রান্তের সংযোগ সড়কে ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে বাঁশ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে যান চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেতুটি পরিদর্শন করেছেন।

আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, কাকিনা খালের ওপর নির্মিত সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩০ মিটার। তবে ঈদুল আজহার ছুটি থাকায় আপাতত সেতুটির নির্মাণ সাল ও ব্যয় জানানো সম্ভব হয়নি।

স্থানীয়দের ধারণা, রাতে কোনো ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে সেতুর মাঝ বরাবর পিলার দেবে যেতে পারে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। সেতুটি দেবে যাওয়ায় আখাউড়া ও কসবা ছাড়াও মোগড়া ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নের হাজারও মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেককে এখন বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে ৫-৮ কিলোমিটার পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম সুমন বলেন, কাকিনা সেতুর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষ হলে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করা হবে। আপাতত পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই নেবে।

আখাউড়া ইউএনও জিএম রাশেদুল ইসলাম বলেন, মোগড়া ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নের সংযোগ সেতুটি দেবে যাওয়ায় তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জননিরাপত্তার স্বার্থে সেতুটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। মনিয়ন্দ এলাকার যাত্রীদের জন্য বিকল্প সড়ক হিসেবে গোয়াল গাঙ্গাইল গ্রাম ও কসবার যাত্রীদের জন্য ধরখার সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঈদের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।