ঢাকা, রবিবার, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০১ জুন ২০২৫, ০৪ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

সিলেটে ভারী বৃষ্টি ও ভারতীয় পানির ঢলে নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৫১, মে ৩০, ২০২৫
সিলেটে ভারী বৃষ্টি ও ভারতীয় পানির ঢলে নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি 

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সিলেটেও ভারি বর্ষণ ও দমকা হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার (৩০ মে) গভীর নিম্নচাপটি স্থল নিম্নচাপে রূপ নেয়।

এতে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো ভোর থেকে সিলেটে ভারী বর্ষণ ও দমকা হাওয়া বইছে। টানার বৃষ্টির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভারতের পাহাড়ি ঢল। এতে সিলেটের নদ-নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

আজ বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সিলেটজুড়ে মুষলধারে বৃষ্টি ঝরেছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ছুটির দিনে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন। জরুরি কাজ ব্যতীরেকে কেউ বাসা-বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।  

আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট অফিসের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৮৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে ৫৩ মিলিমিটার এবং ৯টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত ৬১ মিলিমিটার।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন বলেন, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সিলেটে ভারিবর্ষণ ও দমকা হওয়া বহমান রয়েছে। সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আজ স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ কারণে দিনভর বৃষ্টি হবে।

এদিকে, ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত ২১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেদেশের আবহাওয়া অফিস বৃষ্টিপাতের এই তথ্য রেকর্ড করেছে। ফলে উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেটের সকল নদ-নদীতে পানি বাড়ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডে সিলেটের তথ্যমতে, সকাল ৯টা পর্যন্ত সুরমা, কুশিয়ারা, ধলাই, পিয়াইন ও সারি নদীসহ সবকটি নদনদীর পানি সমতলে মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। সব পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, জেলার কানাইঘাটে সুরমার পানি বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার, বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সে.মি। সিলেটে পয়েন্টে ৭ দশমিক ২২ সে.মি, বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮ সে.মি.।

কুশিয়ারা জকিগঞ্জের অমলসিদে ৯ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার, বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০ সে.মি.। শেওলা পয়েন্টে ৮ দশমিক ২৯ সে.মি, বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সে.মি। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৭ দশমিক ৫৭ সে.মি, বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সে.মি.।

এছাড়া পাহাড়ি নদী কানাইঘাটের লোভাছড়ার পানি বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৬৪ সে.মি, বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৫৫ সে.মি। জৈন্তাপুরের সারি নদী ৯ সে.মি., বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৩৫ সে.মি। জাফলং ডাউকি ৯ দশমিক ২০ সে.মি বিপৎসীমা ১৩ সে.মি.। গোয়াইনঘাট সারি গোয়াইন ৮ দশমিক ০৬ সে.মি., বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮২ সে.মি. এবং একই বিপৎসীমায় জেলার কোম্পানীগঞ্জের ইসলামপুর ধলাই নদীর পানি বেড়ে ৮ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সিলেটের ওপর দিয়ে ভারী বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া অব্যাহত রয়েছে।  

এনইউ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।