সিলেট: সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ৩ দিনের ব্যবধানে আবার ২১ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার(২৯ মে) সকালে উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের নওয়াগ্রাম সীমান্ত থেকে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আটকরা হলেন-কেরামত শেখ (৬০), রমেছা বেগম (৫৫), বিষ্টুপুরের কুলছুম শেখ (২০), ওমর শেখ (২ মাস), নড়াগেতির জহুরা বেগম (৬০), সোহাগী বেগম (৩২), সিদ্দিক শিকদার (১৮), সুমাইয়া বেগম (১১), রাফি শিকদার (৯), হাসান শিকদার (৩), কালিয়া উপজেলার জুয়েল শাহানুর শেখ (২৮), মরিয়ম খাতুন(২৫),আমেনা খাতুন (৮),আনার শেখ (২ মাস), তাছলিমা বেগম (৩৫), ইয়ামিন (১৭), ইয়াসিন (৫), ইয়াকুব (৪), রোকসানা (৩৫), গোপালগঞ্জের আজগর আলী (৪০) ও ইতি বেগম (৩৬)। এ নিয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ৫৩ জনকে ঠেলে পাঠানো হয়েছে।
বিজিবি সূত্র জানায়, নওয়াগ্রাম সীমান্ত এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালান ৫২ বিজিবির নওয়াগ্রাম বিওপি সদস্যরা। এ সময় ভারত থেকে অবৈধভাবে ঠেলে পাঠানো ২১ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ৮ জন শিশু, ৫ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী ছিলেন।
এ সপ্তাহের ২৫ তারিখ ৩২ জনকে পুশইন করার পর থেকে সীমান্ত এলাকায় টহল বেশ জোরদার করেছিল বিজিবি। সীমান্ত পাহারায় বিজিবি সতর্ক অবস্থানে থাকলেও ফের বিএসএফের পুশইনের ঘটনা ঘটে এখানে।
আটকদের অস্থায়ীভাবে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়। পরবর্তীতে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিয়ানীবাজার ৫২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন।
এ বিষয়ে বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়ন বিয়ানীবাজারের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান পিপিএম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তারা বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে ভারতে কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন। এসব ব্যক্তিদের মধ্যে নড়াইল ও টুঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা আছেন। তারা ভারতের দিনমজুরের কাজ করতেন। সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করে। পরে তাদের বিভিন্নভাবে সিলেটের সীমান্ত এলাকা দিয়ে ঠেলে পাঠানো হয়েছে।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আশরাফ উজ্জামান বলেন, ২১ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এনইউ/জেএই